বিয়ের পর থেকেই আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরাত জাহান। একজন মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়েও হিন্দু ছেলেকে বিয়ে ও সিঁদুর পরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী।
নুসরাত মুসলিম হয়েও হিন্দুরীতিতে চলাফেরার বিষয়টি কোনোভাবেই মানতে পারছেন না দেশটির দেওবন্দের ইসলামী সংগঠন ‘দারুল উলুম’। মুসলিম নারী হয়ে এসব করায় ইতিমধ্যে ফতোয়া জারি করেছেন দেওবন্দের ‘দারুল উলুম’ এর ইমাম মুফতি আসাদ ওয়াসমি।
নুসরাতের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি নুসরাত জৈন সম্প্রদায়ের একজনকে বিয়ে করেছেন। ইসলাম বলে, একজন মুসলমান শুধু মুসলমানকেই বিয়ে করতে পারেন। নুসরাতের এমন কাজ ইসলামে কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। নুসরাত একজন অভিনেত্রী। আর বরাবরই দেখে এসেছি অভিনেত্রীরা ধর্মের অনুশাসন মানেন না, যা ইচ্ছা তাই করে বেড়ান। সেটিই তিনি সংসদে করে দেখালেন।
দেওবন্দ ইমামের এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে হিন্দু কট্টরবাদীরা। এদিকে নুসরাতও অভিমত প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গত রবিবার (৩০ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে নুসরাত বলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষী যে, কোনো ধর্মের কট্টরপন্থীদের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিলে বা প্রতিক্রিয়া জানালে সেটি শুধু ঘৃণা ও হিংসাই ছড়ায়।‘
নুসরাত বলেন, সব ধর্মকেই আমি শ্রদ্ধা করি। আমি একজন মুসলমান। পোশাক-সাজসজ্জাকে ধর্মীয় বিশ্বাস মানুষের অধিকার। কি পরবেন আর না পরবেন তা নিয়ে কারও মন্তব্য করা উচিত নয়।
নুসরাতের মতে, বিশ্বাসের মানে সব ধর্মের অমূল্য শিক্ষাগুলোকে মনে গ্রহণ করা ও তা পালন করা।