বর্তমান কলকাতায় ‘বিবাহ অভিযান’ নামের নতুন একটি ছবিতে অভিনয় ব্যস্ত রয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। নির্মাতা বিরসা দাশগুপ্তের পরিচালনায় এতে ফারিয়ার বিপরীতে অভিনয় করছেন অঙ্কুশ।
আজ সোমবার ভারতীয় একটি দৈনিক সংবাদ মাধ্যমে নুসরাত ফারিয়ার দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। সাক্ষাৎকার তিনি তুলে ধরেন তার ব্যক্তি জীবন ও কর্মজীবনের নানা কথা।
নিজের জীবনের প্রেম ভালোবাসা নিয়ে ফারিয়া বলেন, আমার প্রেম তিন মাসের বেশি টেকে না। আবার ব্রেক আপ জোনে যাই। আবার প্রেম। অভিনেত্রীর জন্য এটা খুব স্বাস্থ্যসম্মত। ব্রেকআপ হয়েছিল বলে ‘পটাকা’-র মতো গান করতে পেরেছি। যা সুপারহিট।
তিনি বলেন, আমি প্রথমে ভাবিনি অভিনেত্রী হব। স্টেজ শো করতাম। উপস্থাপিকা ছিলাম। সেখান থেকে আর জে। তারপর প্রথম ছবির প্রস্তাব এল। আজিজ ভাই বললেন ছবি করার কথা। সেখান থেকে কলকাতায় আজিজ ভাই আর এসকে মুভিজের কর্ণধার আসেন। ‘আশিকী’ তৈরি হয়। এক রাত্রে ‘আশিকী’র সাফল্য আমায় অভিনেত্রী করেছিল। আমি ডিবেট দিয়ে শুরু করে ছবিতে এলাম। আমি এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। মাঝে অন্য কিছু করিনি। ‘আশিকী’-র পরে নিজেকে সংশোধন করতে শুরু করলাম।
ফারিয়া বলেন, লোকে ভাবে বাংলাদেশের নায়িকা মোটা হবে। এটা আমি ভেঙে দিতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম নিজের মধ্যে এমন কিছু আনতে হবে যার জন্য মানুষ আমার কাছে আসবে। আমি একদিন টেলিভিশন না দেখে থাকতে পারব, কিন্তু জিমে না গিয়ে বাঁচতে পারব না। জিমে কোন দিন কী কাপড় পরব সেটাও আমার ঠিক করা থাকে। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও তাই।
কম পোশাক পরার প্রবণতার বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি যে কাপড়ে কমফর্টেবল। দেখি আমায় সুন্দর লাগে, আমি পরি। আমি লোকের কথা ভেবে চললে এই জায়গায় আসতে পারতাম না। মানুষ যক্ষের মতো বসে থাকে আমি কী কী করছি, পরছি।
‘আল্লাহ মেহেরবান’ গান নিয়ে সমালোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবার এতটুকু বিবেকবোধ ও বিবেচনা থাকা উচিত যে এটা অভিনয়। কোনও কিছুকে আঘাত করার জন্য নয়। কখনওই শিল্পী তার নিজের পছন্দমতো পোশাক পরে নাচতে পারে না। এটা পুরো টিমের সিদ্ধান্ত। গানটির জন্য প্রায় তিন মাস পরিশ্রম করেছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘আশিকী’র মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন ঢাকাই মডেল-উপস্থাপক নুসরাত ফারিয়া। এরপর ‘হিরো ৪২০’, ‘বাদশা দ্য ডন’, ‘বস-টু’, ‘প্রেমী ও প্রেমী’, ‘ধ্যাততেরিকি’-সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।