Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিমান সচিবের বক্তব্যে ‘বিস্মিত’ ইলিয়াস কাঞ্চন যা বললেন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৪:০৮ PM আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৪:০৮ PM

bdmorning Image Preview


অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান (নিসচা) ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।  এসময় মনের তিনি তার বৈধ পিস্তল ও নিয়ে ১০ রাউন্ড গুলি নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করলেও তা স্ক্যানিং মেশিনে ধরা পড়েনি।এ ঘটনায় এক নিরাপত্তাকর্মীকে বরখাস্ত ও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বিমান সচিব মহিবুল হক বলেন, কারো কাছে অস্ত্র থাকলে সেটি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হয়। কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চন লাগেজটি স্ক্যানে দিয়ে দৌড়ে সামনে চলে যান। স্ক্যানে অস্ত্রসহ ওনাকে ধরা হয়। তখন উনি বলছেন, হ্যাঁ আমার এখানে পিস্তল রয়ে গেছে। আমি সরি। পরে ওনার অস্ত্রটা উনি নিয়ে নেন। এরপর ওখানকার নিরাপত্তাকর্মীদের একজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

তবে তার এ বক্তব্য অস্বীকার করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, আমার পিস্তলবাহী ল্যাপটপের ব্যাগটি দ্বিতীয়বার স্ক্যানারে দেয়াই হয়নি।

তিনি বলেন, প্রথম স্ক্যানার পার হওয়ার পর আমার মনে পড়ে, আমার ব্যাগে পিস্তল আছে। তখন আমি চিন্তা করি স্ক্যানারে কেন ধরা পড়লো না। তাৎক্ষণিক আমি নভোএয়ার কাউন্টারে গিয়ে জানালে তারা নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ফোন করেন। এরপর তারা সেখানে আসেন।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, কেন স্ক্যানারে বিষয়টি ধরা পড়েনি তা নিয়ে আমি তাদের কাছে অভিযোগ করেছি। আমি তাদের কাছে জবাব চেয়েছি। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমন দুর্বল থাকবে কেন?

তিনি বলেন, 'নিরাপত্তার কারণে আমি বৈধ পিস্তলটি ব্যবহার করি। পিস্তলটি থানায় জমা ছিল। সম্প্রতি ফেরত পাওয়ার পর আমি ব্যাগে রাখি। মঙ্গলবার আমি ওই ব্যাগটি নিয়ে বের হই। যখন আমি বিমানবন্দরে প্রবেশ করি তখন আমার প্রথমে মনে পড়েনি যে আমার ব্যাগে পিস্তল আছে। প্রথম স্ক্যানার পার হওয়ার পরে মনে পড়ায় আমিই তাদের কাছে গিয়েছি।

ইলিয়াস কাঞ্চন অভিযোগ করে বলেন, এটা আমি না হয়ে অন্য কেউ হতে পারতো। কোনো বড় ঘটনা ঘটতে পারতো। কোনো সন্ত্রাসীও হতে পারতো। তখন পরিস্থিতি কী হতো। আমি তাদের প্রশ্ন করেছি, কেন আমার পিস্তল স্ক্যানারে ধরা পড়েনি। আমি এটি করলাম ভালোর জন্য, এখন দেখছি জিনিসটা খারাপ হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে। অবশ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিখুঁত করতে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্ক্যানিং মেশিন কেনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের নিরাপত্তা তল্লাশি জোরদার করার কথা জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব।

উল্লেখ্য, বিমানবন্দরের সামগ্রিক নিরাপত্তায় নিযুক্ত আছেন ১ হাজার ২০০ এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন। আর টার্মিনালের ভেতরে যাত্রীদের দেহ, ব্যাগেজ তল্লাশি ও স্ক্রিনিংয়ের দায়িত্বে আছেন সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা কর্মী ও তাদের অধিভুক্ত আনসার সদস্য।

Bootstrap Image Preview