নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন শয্যাশয়ী কণ্ঠশিল্পী আকবর। খুব দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রয়োজন হলেও পরিবারের সে সামর্থ নেই বলে জানালেন স্ত্রী কানিজ ফাতেমা সীমা।
তিনি জানান, আগে থেকেই আকবর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, এখন বেড়েছে। কিডনির সমস্যা প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। ইলেক্ট্রোলাইট নেমে এসেছে জিরোর কোঠায়। রক্তে জার্ম পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ায় এখন পুরো শরীর অবশ।'
তিনি বলেন, 'ইলেক্ট্রো লাইটের সমস্যা আগে থেকেই, এর আগে হানিফ সংকেত স্যার বিদেশ থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনেন। এরপর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে গত দুই বছর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা করাচ্ছি। কিন্তু এখন অবস্থা এমন পর্যায়ে গেছে হাতে কোনো টাকা পয়সা নেই, চিকিৎসা করাতে পারছিনা। রক্তে জার্ম আসায় পুরো শরীর অবশ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। কিডনির চিকিৎসা না হলে তাঁকে বাঁচানো যাবে না।
এ আগে ২০১৭ সালে গনমাধ্যমের এক সাক্ষাতকারে আকবর তার অসুস্থতার কথা জানিয়ে বলেছলেন, গানে ফিরলেও আমি তেমন কিছুই করতাম না, শুধু এখানে সেখানে কনসার্ট করতাম। বলা যায় মিডিয়ার আলোর বাইরে ছিলাম। এরই মাঝে গত বছর অসুস্থ হয়ে পড়ি। মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় আমাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। একইসাথে নানারোগ আমাকে আক্রমণ করে বসে, যক্ষ্মা, কিডনিরোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশয়ী হয়ে পড়ি। টানা দুইমাস হাসপাতাল ছিলাম। এই দুরবস্থা থেকে আমাকে উদ্ধার করেন হানিফ সংকেত স্যার।
আকবর বলেন, তিনি আমাকে তুলে এনেছেন, তিনি এই দুর্দিনেও পাশে দাঁড়ালেন। এরপর আমি সুস্থ হলে আমাকে ইত্যাদিতে ফের গান গাওয়ার সুযোগ দেন। বলা যায় এই গানটাই আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। আমি ফের মূলধারায় ফিরে এসেছি।
আকবর মিরপুর ১৩ নম্বরে বসবাস করেন। মেয়ে আছিয়া আকবর অথৈ হারমান মেইনার স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছেলে কামরুল ইসলাম, মহরম থাকে গ্রামের বাড়িতে যশোরে।