নেকদিন যাবৎ হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রয়েছেন কাজী হায়াৎ। সাম্প্রতি এই চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং অভিনেতার ঘাড়ের একটি রক্তনালিতে ব্লক ধরা পড়ে। এ কারণে তাকে নিউ ইয়র্কের প্রেসবাইটেরিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার (৯ জানুয়ারি) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হঠাৎ করেই তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।
ফেসবুকে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর নিউ ইয়র্কের হাসপাতাল থেকে এক ভিডিওবার্তায় চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ জানিয়েছেন, তিনি বেঁচে আছেন।
ফেসবুকের এমন গুঞ্জন নিয়ে কথা বলেছেন তার তার ছেলে চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। তার নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা এক ভিডিও বার্তায় এ নির্মাতা বলেন, ‘আমি হসপিটালে আছি, অসুস্থ তবে বেঁচে আছি। যারা মিথ্যা কথাটা ছড়িয়েছেন তাদের আমি নিন্দা করি। কেন এই মিথ্যা কথা? আমি খুব কষ্ট পেলাম।‘
কাজী মারুফ ফেসবুকে ৯ জানুয়ারি লিখেছেন, ‘এখন থেকে ১২ অথবা ১৪ ঘণ্টা পর এনজিওগ্রাম করা হবে। আমার আব্বার ব্রেইনে দেখা হবে কতখানি ব্লক আছে। আমি অনুরোধ করব, সবাই দোয়া করবেন যেন সার্জারি করার উপযুক্ত থাকে এবং উনি পূর্ণ সুস্থতা ফিরে পাক।’ সবার দোয়ায় সুস্থ হয়ে দ্রুত দেশে ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কাজী মারুফ তার বাবার জন্য দোয়া চেয়ে লিখেছেন, ‘আমার আব্বার জন্য সবাই দোয়া করবেন। তিনি যদি কখনও কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকেন তবুও তার জন্য দোয়া করবেন। যেন তিনি সুস্থ হয়ে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন।‘
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের দিকে কাজী হায়াৎ প্রথম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০০৪ সালের দিকে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে তার হার্টে ৪টি রিং পরানো হয়। পরে তৃতীয় দফায় জটিলতা বাড়লে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা অনুদান পান তিনি।
১৯৭৪ সালে পরিচালক মমতাজ আলীর সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন কাজী হায়াৎ। ১৯৭৬-১৯৭৭ মৌসুমে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবিরের সঙ্গে সীমানা পেরিয়ে ছবিতেও সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৯ সালে ‘দি ফাদার’ ছবিটি পরিচালনার মধ্যে দিয়ে পূর্ণ-পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।