গেল বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাজী হায়াৎ-এর মৃত্যু গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন কাজী পরিবার। এসময় চিকিৎসাধীন কাজী হায়াৎ-এর সার্বক্ষণিক সঙ্গী তার ছেলে কাজী মারুফ নিজের ফেসবুকে পোস্ট করার মাধ্যমে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি লেখেন, ‘ প্লিজ, কোনও অপপ্রচার চালাবেন না। আমার বাবা ভালো আছেন।’
তবে গুজব থামাতে না পেরে বাধ্য হয়ে অসুস্থ বাবাকে ভিডিও বার্তায় কিছু বলতে বলেন মারুফ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতাল থেকে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আশ্বস্ত করতে বাধ্য হয়ে তিনি ভিডিও বার্তা দেন।
বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি হাসপাতালে আছি। অসুস্থ, তবে বেঁচে আছি। যারা মিথ্যে কথাটা ছড়িয়েছে তাদের আমি নিন্দা করি। কেন এই মিথ্যে কথা? আমি খুব কষ্ট পেলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন ভালো হয়ে বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারি।’
বুধবার (৯ জানুয়ারি) রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে কাজী মারুফ ফেসবুকে ভিডিও বার্তাটি পোস্ট করেন।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরে কাজী হায়াৎ শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের আক্রান্ত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তার ঘাড়ের একটি রক্তনালীতে ব্লক ধরা পড়েছে। ১৯৯৩ সালে তার হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়েছিল। তখন তিনি ভারতের বিরলা হার্ট সেন্টারে গিয়ে চিকিৎসা নেন।
এরপর ২০০৪ সালে আবারও সমস্যা দেখা দেয়। তখন তার হার্টে ৪টি রিং বসানো হয়। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওপেনহার্ট সার্জারি করা হয়। গেলো বছরের জানুয়ারি মাসে নতুন করে হার্টে সমস্যা দেখা দিলে এই নির্মাতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী তাকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দেন।