বাংলা চলচিত্রের বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবারও তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউতে) নেয়া হয়েছে। বুকে ইনফেকশনের জন্য গত দুই সপ্তাহ আগে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরবর্তীতে গত বুধবার তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
টেলি সামাদের বড় মেয়ে সোহেলা সামাদ কাকলী বলেন, ‘বাবার অবস্থার অবনতি হবার কারণে আবারও তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। আমি হাসপাতালে সবসময় বাবার পাশেই থাকি।’
তিনি বলেন, বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো না মন্দ কিছুই বুঝতে পারছেন না তারা।’ তবে এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই খাবারের প্রতি অনীহা দেখা দেয় তার বাবার। যার ফলে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
কাকলী আরও বলেন, ‘বুকে ইনফেনশন ছাড়াও তার রক্তের প্লাটিলেট কমে যাচ্ছিল। সেখানে তাকে তিন ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়। টেলি সামাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ায় তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তির পরামর্শ দেন স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেখানে নেয়ার পর তাকে আরও দুই ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।’
স্কয়ার হাসপাতালে ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতীক দেওয়ানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা হয় এ অভিনেতার।
বাবার সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন সোহেলা সামাদ। টেলি সামাদকে এর আগে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাইপাস সার্জারি করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন। কিন্তু দেশে আসার পর অক্টোবর ও নভেম্বরে দুই দফা স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। এমনকি গত বছরের ২০ অক্টোবর জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে।
অসুস্থ টেলি সামাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়ে তার চিকিৎসায় উদ্যোগী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে এই অভিনেতার হাতে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সহায়তা টেলি সামাদের পরিবার এখনও স্মরণ করেন তাকে। মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ নয়াগাঁও এলাকার সন্তান ছিলেন তিনি। তার প্রকৃত নাম ছিল আবদুস সামাদ। কিন্তু পর্দায় টেলি সামাদ নামেই পরিচিতি গড়ে ওঠে তার। কমেডিয়ান হিসেবে বেশির ভাগ দর্শক টেলি সামাদকে চিনলেও প্রায় ৪০টির বেশি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন তিনি এবং আছে কিছু অ্যালবামও।