হায়দ্রাবাদের প্রসাদ ল্যাব বানজারা হিলসে গত শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘তেলেঙ্গানা বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব আয়না ২০১৮’। এই উৎসবটির আয়োজন করেছে হায়দ্রাবাদ বাংলা সমিতি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, অভিনেতা দেব, রুক্মিণী মৈত্র, বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জি এবং বাংলাদেশের অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।
ভারতীয় বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা দেব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে বলেন, ‘এবারই আমার প্রথম দেখা হল অপু দিদির সঙ্গে। তিনি আমাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন বলে সত্যি এটা আমাদের জন্য অনেক সম্মানের এবং আমি এই উৎসবে আসতে পেরে অনেক বেশি খুশি।’
এই উৎসবে বাংলাদেশ, ভারত ও তামিলনাডুসহ মোট ১০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত করা হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের চারটি, কলকাতার পাঁচটি এবং তামিলনাড়ুর একটি। উৎসবে বাংলাদেশ থেকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে রয়েছেন ঢাকাই ছবির অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। উৎসবে ‘দুই বাংলা মৈত্রী পুরস্কার’ পেয়েছেন অপু বিশ্বাস ও দেব।
গতকাল বিকেলে ‘আত্মজা’ ছবির প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়াপ্রদা এবং অনুষ্ঠানে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় অতিথিবৃন্দরা প্রদীপ প্রজ্বালন করেন।
অনুষ্ঠানে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী তাঁর বক্তব্যে দুই বাংলার সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভালো এবং এটা আরও ভালো করার জন্য অবশ্য দুই দেশকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের সকল কাজ করতে হবে। বাংলার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশ সব সময় ভারতের সঙ্গে থাকবে।’
অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক সুমনা কাঞ্জিলাল অপু বিশ্বাসকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মনোনীত করার ব্যাপারে বলেন, ‘এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের বেশ কয়েকজনের কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু সবার মধ্যে অপু বিশ্বাসকেই উপযুক্ত মনে হয়েছে। আর এটা শুধু তিনি সিনেমার মানুষ বলে নয়। মূলত তিনি একজন ব্যক্তিত্ববান ভালো মানুষ।’
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘সম্মাননাকে অবশ্যই সম্মানের চোখেই দেখতে হবে। তবে এই উৎসবে যদি আমার সিনেমা থাকতো তাহলে আরও বেশি ভালো লাগত। কিন্তু যাই হোক, এটি তো মুলত সিনেমাসংক্রান্ত পুরস্কার। আর সেটিতেই আমি অনেক খুশি।’
উৎসবে বাংলাদেশের যে চারটি ছবি দেখানো হবে তার মধ্যে রয়েছে, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘খাঁচা’, ‘কালের পুতুল’ ও ‘ড্রেসিং টেবিল’। উৎসবটি শেষ হবে আগামী রবিবার।