গত ১৭ অক্টোবর মুম্বাই পুলিশের কাছে বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন বিনতা নন্দা। বিনতা নন্দা ছোট পর্দার স্ক্রিপ্ট রাইটার এবং পরিচালক ও প্রযোজক। এর পর থেকেই গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ‘সংস্কারি বাবুজি’ অলোক নাথ।
গত ২১ নভেম্বর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। এরপর মুম্বাইর ওসিওয়াড়া থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার অলোক নাথের বাড়িতে যায়। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি।
কিন্তু অলোক নাথের আইনজীবী বলেছেন, অলোক নাথ কাজের জন্য অনেক দিন বাইরে আছেন। শিগগিরই তিনি বাসায় ফিরে আসবেন। তিনি মোটেও পালিয়ে যাননি। ফিরে এসে তিনি অবশ্যই পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করবেন।অলোক নাথের আইনজীবীর কথা মেনে নিতে পারেনি মুম্বাই পুলিশ। ওসিওয়াড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, অলোক নাথ যদি নিজে থেকে শিগগির ফিরে না আসেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগপত্রে বিনতা নন্দা লিখেছেন, ‘অলোক নাথ মদ্যপ, অসভ্য আর বিরক্তিকর মানুষ। যেহেতু তিনি টেলিভিশনের জনপ্রিয় তারকা, তাই খারাপ কাজ, অপকর্ম, খারাপ ব্যবহার করেও তিনি সহজেই পার পেয়ে যান।’ এত দিন পর বিনতা নন্দা কেন এসব কথা বলছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বিনতা বলেন, ‘১৯ বছর ধরে এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করেছি।’
অভিযোগ পত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘ এক রাতে পার্টি শেষে রাস্তায় আমি একাই ছিলাম। হঠাৎ অলোক নাথ গাড়ি নিয়ে আসেন। তিনি আমাকে বাসায় নামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমিও তাঁকে বিশ্বাস করেছি। কিন্তু গাড়িতে ওঠার পর আমাকে জোর করে আরও মদ খাওয়ানো হয়। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পরদিন ঘুম থেকে ওঠার পর আমার শরীরের নিচের অংশে খুব ব্যথা অনুভব করি। বুঝতে পারি, শুধু ধর্ষণ নয়, বর্বরতার শিকার হয়েছি আমি। ওই সময় বিছানা থেকে উঠতে পারছিলাম না।’
এদিকে বিনতা নন্দার অভিযোগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অলোক নাথ আর তাঁর অপকর্মের বিরুদ্ধে নিন্দা ও ধিক্কারের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। কেউ কেউ তাঁকে ‘সংস্কারি বাবুজি’ বলে ব্যঙ্গ করেছেন। কারণ, পর্দায় তাঁকে সেভাবেই উপস্থাপন করা হয়।
তবে অলোক নাথের স্ত্রী আশু নাথ বারবার বিনতা নন্দার অভিযোগকে মিথ্যা বলছেন। তিনি দাবি করছেন, এই সবই তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।