Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

লাইফ সাপোর্টে আছেন আমজাদ হোসেন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৪১ PM আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৪১ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন গত রবিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে তার নিজ বাসভবনে হঠাৎ করেই ব্রেইনস্ট্রোক করেন। এরপর তাকে সাথে সাথে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ডা. শহীদুল্লাহ সবুজের তত্ত্বাবধানে চলছে তার চিকিৎসা।

আমজাদ হোসেনের ছেলে নির্মাতা ও অভিনেতা সোহেল আরমান বলেন, ‘সকালে আমি যখন বুঝতে পারি যে, বাবা তার হাত পা নাড়তে পারছেন না, ঠিক তখনই তাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসি এবং ডাক্তার তখন জানান বাবা ব্রেইনস্ট্রোক করেছেন। তার শারীরিক অবস্থা বেশি ভালো না। বার্ধক্যজনিত রোগও রয়েছে তার। কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি যেন না হতে হয় সে জন্যই মূলত তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।’

বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সবার কাছে দোয়া চাই যেন আমার বাবাকে আল্লাহ তাআলা আবার সুস্থভাবে আমাদের সকলের মাঝে ফিরিয়ে দেন।’

আমজাদ হোসেনের লেখা প্রথম নাটক ‘ধারাপাত’। এটা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সালাহউদ্দিন এবং সেখানে তিনি নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। আর এরপর তিনি জহির রায়হানের ইউনিটের সাথে কাজ শুরু করেন। এভাবে দীর্ঘদিন কাজ করতে করতে ১৯৬৭ সালে তিনি নিজেই একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন যার নাম ‘জুলেখা’। তার পরিচালিত দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি।

১৯৮১ সালে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং কিংবদন্তি এই পরিচালক ১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ এই দুই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেন।

Bootstrap Image Preview