Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

'মানবিক সমাজ তৈরি করতে প্রয়োজন শিল্পচর্চা'

বিডিমর্নিং : নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৪৮ AM আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৪৮ AM

bdmorning Image Preview


বর্ণিল সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ইতি টানল ১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০১৮ এর দীর্ঘ একমাস ব্যাপী আয়োজন।

‘বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে শিল্পের চেয়ে খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষার অগ্রাধিকার বেশি থাকবে এটাই সাভাবিক। তারপরও আমাদের চেষ্টা করতে হবে সংস্কৃতিকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কারণ মানবিক সমাজ তৈরি করতে না পারলে একটি উন্নত রাষ্ট্র তৈরি করা সম্ভব নয়।'

আজ রবিবার (৩০সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় শিল্পকলার জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০১৮এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান নুর কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সময়ের সাথে শিল্পের কলবর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ডাল-পালা বেড়ে চলেছে আমাদের নানা বিধ শিল্পায়জনের মাধ্যমে। আমাদের দেশীয় আয়োজনগুলোর এমন কিছু ব্যতিক্রমধর্মীতা থাকতে হবে যার কারণে দর্শনার্থীদের ফিরে ফিরে বারবার এই দেশেই আসতে হবে। সামনে নির্বাচন, আমাদের অবস্থানের পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু শিল্পের উন্নয়নে আমাদের অবস্থান সর্বদাই অটল।’

সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সচিব নাসেরুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্তে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। তার মতে এইবারের আয়োজনের ভিত্তি ছিল বিনোদন, শিক্ষা এবং দেশীয় শিল্পের উপর উৎসাহ।

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পকলা তৈরি করেছিলেন মানুষের মনে আলো জাগানোর জন্য তাই এই ধরনের আরও অনের প্রদর্শনীর আয়োজন আমরা করে যাব কারণ এই শিল্পকর্মগুলোই পরোক্ষভাবে বহিঃবিশ্বকে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে আলোকিত করে।’

এ বছর এই প্রদর্শনীর সাথে আয়োজক হিশেবে যুক্ত ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং পৃষ্ঠ পোষকতা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়। অংশ গ্রহন করেছিল ৬৮ টি দেশ এবং ৪৬৫ টি শিল্পকর্ম, ৫৮৩জন শিল্পি এবং ১৪ জন পরিবেশনা শিল্পী।

অনুষ্ঠানটির বিশেষ অতিথি, বাংলাদেশ শিল্পকলার মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি বলেন, এই বছরের প্রদর্শনীর মূলত একটু ভিন্নধর্মী ছিল কারণ এই বছরের আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল আজকের শিশু শিল্পী এবং ভবিষ্যৎ উত্তরসুরিদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা এবং বহিঃবিশ্বের সম্পর্কে জ্ঞান তৈরি করা। দেশের ৬৪ টি জেলা থেকে ২ জন করে ১২৮ জন বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুশিল্পি সহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের দুইশতাধিক শিশু এবারের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করেছে এবং দুইজন বিদেশী শিল্পী তত্ত্বাবধানে তাদের কাজ দুইটি আন্তর্জাতিক সংগঠনে ইতোমধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছেও। এছাড়াও নৌবিহার, ভাস্কর্য চত্বরের মতো অনেক নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে।

তিনি আরও জানান, আগামী দিনে এ আয়োজন আরও বড় পরিসরে করতে পারবে বলে আশা করছেন। কারণ শিল্পকলা ভবন তখন আরও তিন তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে পরবর্তী পর্বে ১০০ টি দেশের অংশগ্রহণ কামনা করছেন তারা।

একমাস ব্যাপী চলমান এই প্রদর্শনীর সমাপনী দিনটি সংশ্লিষ্টদের জন্য ছিল একদিকেআনন্দের, আরেকদিকেবেদনার।৩০টিউপকমিটিরকরমকর্তারামিলেপ্রদর্শনীটির জন্য নির্ধারিত সময়ের ৩মাসআগেইবাস্তবায়িতকরেছে প্রদর্শনীটি।যদিও এশিয় পরিসরের আয়তায় প্রদর্শনীটিকে আনা হয়েছে তবে এর মূল ভাবগাম্ভীর্য এবং দর্শন আন্তর্জাতিক ছিল বলে মনে করছেন তারা।

Bootstrap Image Preview