Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

কবরীর গুলশানের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৪ AM আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৪ AM

bdmorning Image Preview


ঢাকাই চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর গুলশানের বাসায় ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ১২ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কারসহ চুরি হয়েছে নগদ ৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা করেছেন কবরী।

চুরির ঘটনাটি ঘটেছে ১ মাস আগে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তার গাড়িচালক মোস্তফা, গৃহপরিচারিকা শেলী ও গৃহপরিচারক কাওসার মিয়াকে গ্রেফতার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। কিন্তু ঘটনার ১ মাস পার হয়ে গেলেও মূল আসামি রতন পালকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে কবরী বলেন, ‌সন্দেহভাজন কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। তবে এক মাস পার হয়ে গেলেও মূল সন্দেহভাজন রতন পালকে এখনো ধরা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আশা দেয়া ছাড়া আর কোনো ফিডব্যাক দিতে পারেনি। কেন এমনটা হচ্ছে, তা আমি বলতে পারব না।

কবরীর দাবি, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। চোররা আমার আলমারির নকল চাবি বানিয়েছে। তারপর এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যখন ঘটনা ঘটেছে, সে সময় আমি অসুস্থ ছিলাম। মেডিকেলে ভর্তি ছিলাম, যার কারণে এ বিষয়গুলোতে খুব একটা খেয়াল করতে পারিনি। আমার ধারণা, বাসার গার্ড থেকে শুরু করে অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত।

এদিকে চুরির ঘটনায় করা এজাহার থেকে জানা যায়, কবরীর পূর্বপরিচিত রতন পাল ১৫ বছর পর গত এপ্রিল মাসে তার বাসায় আসেন। এরপর বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারপর কবরী তাকে তার বাসায় আশ্রয় দেন। রতন কবরীর গুলশানের বাসায় থাকতে শুরু করেন। ওই সময়টাতে কবরী দেশের বাইরে যান। আর বাসা দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে যান তাকে। এরপর ফিরে আসার পর তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে ২০ আগস্ট কবরী তার বাসার জিনিসপত্র সব ঠিকঠাক আছে কি না সেটি দেখেন। টের পেয়ে রতন পাল কাউকে কিছু না বলে কৌশলে বাসা থেকে পালিয়ে যান। বাসার সবকিছু খোঁজার পর একটা সময় কবরী দেখলেন, তার আলমারি থেকে সাতটি সোনার চুড়ি, দুটি সীতাহার, চারটি স্বর্ণের আংটি, যার মূল্য আনুমানিক ১২ লাখ টাকা এবং নগদ পাঁচ লাখ টাকাসহ মোট ১৭ লাখ টাকা ও বেশ কিছু মালামাল চুরি হয়ে গেছে।

কবরীর বাসায় চুরির ঘটনাটি সম্পর্কে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, বাড়ির কেয়ারটেকার, গাড়ির চালক ও বুয়া এই তিন আসামিকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। চুরির সঙ্গে তিনজনের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে বাড়ির কেয়ারটেকার মূল দোষী। তাঁর রিমান্ড চেয়েছিলাম কিন্তু আদালত তা মঞ্জুর করেননি। ঘটনার পর থেকেই মূল আসামির ফোন বন্ধ পাচ্ছি। তাঁর কোনো হদিস পাচ্ছি না। চেষ্টা করছি খুঁজে বের করার। ম্যানুয়াল ও তথ্যপ্রযুক্তি- দুই দিক দিয়েই আগাচ্ছি, মূল আসামিকে ধরার।

Bootstrap Image Preview