আবারও ব্যক্তি আক্রোশের শিকার হয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রকাশ্যেই খেয়েছেন এক নারীর চড়। গত রোববার (২০ নভেম্বর) এই ঘটনা ঘটে এবং সেটির একটি ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
মেহর নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই এবং সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি ভাইরাল ভিডিওর উদ্ধৃতি দিয়ে মেহর নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গত রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মুখে আবারও চড় মারা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ কোথাও যাচ্ছিলেন এবং এসময় জলপাই সবুজ টি-শার্ট পরা এক নারী তাকে চড় মারেন।
এছাড়া ভাইরাল ওই ফুটেজে ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন বলেও দেখা গেছে। তবে চড় মারার ঘটনার পরপরই ম্যাক্রোঁর নিরাপত্তা টিম দ্রুত অভিযুক্ত নারীকে টেনে নিয়ে যায় এবং তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৮ জুন অনেকটা একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ফরাসি নেতার সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মুখে চড় মেরেছিলেন এক ব্যক্তি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, টেইন-ল’হার্মিটেজ নামক এক শহরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতেই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই সময়ই আচমকা এই ঘটনা ঘটে।
ভিডিওতে দেখা যায়, লম্বা চুলের এক নারীর সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। একপর্যায়ে সেই নারী প্রেসিডেন্টের হাত ধরে তাকে থাপ্পড় মারেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা সেই নারীকে ধরে ফেলেন। পরে অভিযুক্তকে ম্যাক্রোঁ বিরোধী স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের লিঁয়তে এক খাদ্যমেলায় প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রোকে লক্ষ্য করে ডিম ছুঁড়ে মারার ঘটনা ঘটে। সেবার অবশ্য ডিমটি অল্পের জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্টের মুখে লাগেনি। ডিমটি গিয়ে লাগে তার কাঁধে। তবে কাঁধে লাগলেও নিক্ষিপ্ত ডিমটি না ফেটেই নিচে পড়ে যায়।
এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে ফের একবার নিজের দেশের মাটিতে আক্রোশের শিকার হন ম্যাক্রোঁ। ফ্রান্সে নির্বাচন জয়ের পর প্রথমবার জনসমক্ষে আসার পরই তার দিকে উড়ে এসেছিল টমেটো। তবে সেই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর গায়ে লাগেনি ওই বস্তুটি।