বৃহস্পতিবার ৪০টি নৌযান নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, মধ্যনগর, ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ উপজেলার হাওর এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী। শনিবার সিলেট সরকারি আলীয়া মাদরাসা মাঠে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতেই তাদের এ নৌযাত্রা। একটি নৌযানে ১৫০ থেকে ২০০ জন নেতাকর্মী রয়েছেন। প্রতিটি নৌযানেই থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
এ ছাড়া আজ শুক্রবার হাজারো মোটরসাইকেলযোগে নেতাকর্মীরা যাচ্ছেন বিএনপির সিলেট গণসমাবেশে যোগ দিতে।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ও তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুল হক বলেন, আমরা নিশ্চিত ছিলাম পরিবহন ধর্মঘটসহ নানাভাবে সমাবেশে যোগদানে বাধাগ্রস্ত করা হবে। তাই পূর্বপ্রস্তুতি থেকেই চল্লিশটি বড় নৌকা ও হাজারো মোটরসাইকেলে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যাচ্ছি। তিনি জানান, জনগণের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, বাধা দিয়ে সমাবেশ ও আন্দোলন আর ঠেকানো যাবে না।
তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষকদলের কর্মী সোনা মিয়া। তিনি জানান, তাদের ওয়ার্ড থেকে দুটি নৌকায় করে দলের প্রায় চার শতাধিক নেতাকর্মী সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বৃহস্পতিবার সকালে। নৌকার মধ্যেই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নৌকায় জায়গা না থাকায় তিনি যেতে পারেননি। চেষ্টা করছেন সড়কপথে যাওয়ার।
শুক্রবার বিকেল তিনটায় তাহিরপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহীন মিয়া কালের কণ্ঠকে জানান, নৌ ও মোটরসাইকেল যাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো বাধার মুখে পড়েননি। তবে বাধা আসলে প্রতিহত করেই তারা সমাবেশে যোগ দেবেন।
সমাবেশের উদ্দেশে নৌযানের যাত্রী তাহিরপুর উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক লুৎফুর রহমান ও মধ্যনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম শুক্রবার বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, কোনো বাধা ছাড়াই আমাদের ৭টি নৌকা সিলেট কাজীরবাজার সেতুর কাছে ঘাটে ভিড়িয়েছি। অন্যান্য ৩৩টি নৌকাও সন্ধ্যার মধ্যে চলে আসবে। তারা জানান, প্রথমে কিছুটা আতঙ্ক ও উত্তেজনা থাকলেও উৎসবের আমেজেই নৌযান যাত্রা শেষ হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল বলেন, সকল বাধা উপেক্ষা করে জেলার পঞ্চাশ হাজার নেতাকর্মী সিলেট মহাবেশে যোগদান করবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রিয় চাকমা বলেন, প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। রাস্তাঘাটে কাউকে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না।