ভাইপোর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে ফুফুকে গণপিটুনি দিয়ে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরে তাকে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ভারতের মালদা শহরের পুরাটুলি কলোনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে
জানা যায়, দূর সম্পর্কের ফুফুর জন্য ভাইপো মানসিক অবসাদে কয়েকদিন আগে আত্মঘাতী হয়েছেন। এরপর থেকে পালিয়ে ছিলেন ওই মহিলা। শুক্রবার সকালে ওই মহিলা পুরাটুলি এলাকার হঠাৎ কলোনিতে নিজের বাড়িতে আসতেই ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত মহিলাকে গণপিটুনি দিয়ে মাথায় চুল কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছুটে আসে ইংরেজ বাজার থানা পুলিশ। মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মৃত ভাইপোর স্ত্রী সুস্মিতা কর্মকার জানিয়েছেন, তার স্বামী টোটোন কর্মকার পেশায় টোটো চালক ছিলেন। তাদের ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। দুই সন্তান রয়েছে। বিগত দুই বছর আগে পুরাটুলী হঠাৎ কলোনী এলাকার বাসিন্দা সবিতা কর্মকারের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক গভীর হয়। টোটোন তাঁকে ছেড়ে দিতে বলে। তারপরে সবিতা জানায় সে তার স্বামীর সঙ্গে থাকবে না। বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পারে। এই নিয়ে সালিশি হয়। এরপরেও সবিতা তাঁর স্বামী টোটোনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায়। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিবাদও হয়।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার টোটোন কাজে বেড় হয়। এরপর খবর আসে টোটোন অ্যাসিড খেয়েছে। তাঁকে তরিঘড়ি উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। বুধবার তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে সবিতা পালিয়ে ছিল। শুক্রবার বাড়িতে ফিরতেই স্থানীয় বাসিন্দা ও মৃত টোটোনের স্ত্রী সুস্মিতা কর্মকার সবিতাকে ধরে ফেলে। এরপর চলে উত্তম-মধ্যম মার। এমনকি তার চুল কেটে ঘোরানো হয় এলাকায়। ঘটনার খবর যায় ইংরেজবাজার থানায়। পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত ওই মহিলার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃত টোটোনের স্ত্রী সুস্মিতা কর্মকার। সূত্র: আনন্দবাজার ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।