নতুন একটি মিডিয়া আইন অনুমোদন করেছে তুরস্কের পার্লামেন্ট। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) অনুমোদন করা কঠোর এই আইন অনুযায়ী, ‘ভুয়া খবর’ ছড়ানোর জন্য সাংবাদিক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
দেশটিতে নির্বাচনের আট মাস আগে নতুন এই আইন মিডিয়ার ওপর সরকারের কর্তৃত্ব আরও দৃঢ় করবে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
আইনে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে যিনি ভুয়া তথ্য দেবেন, তার ব্যক্তিগত সব তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুয সবারই জেল হতে পারে।
সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ভুয়া তথ্য কাকে বলা হবে, সেই বিষয়টি বিলে স্পষ্ট করে বলা হয়নি বলে জানিয়েছে কাউন্সিল অব ইউরোপ। তাদের মতে, ২০২৩ সালের জুনে তুরস্কে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে এই আইন পাস করার অর্থ হলো, মানুষকে জেলের ভয় দেখানো এবং মানুষ যাতে নিজেরাই সমালোচনা থেকে বিরত থাকে তার ব্যবস্থা করা।
আইনের একটি অংশ নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠছে। সেখানে বলা হয়েছে, অনলাইনে তুরস্কের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিলে বা কোনো তথ্য যা জনমানসে ভয় তৈরি করতে পারে বা জনশৃঙ্খলার বিরোধী এমন কিছু লিখলে-- এক থেকে তিন বছরের জেল হবে।
তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) নেতা অ্যালটে বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে তুরস্ক অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে। এই আইন করার পর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার তালিকায় তুরস্ক থাকবেই না।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দলের দাবি, ভুয়া ও ভুল তথ্যের স্রোত বন্ধ করার জন্য এই আইন দরকার ছিল। এই বিল সংবাদমাধ্যম বা বিরোধীদের চুপ করানোর জন্য করা হয়নি।
পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর বিলটি এখন প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য গেছে। তিনি অনুমোদন দিলেই তা আইনে পরিণত হবে।
এএফপি বলছে, তুরস্কের সরকার সম্প্রতি সাপ্তাহিক ‘ডিসইনফরমেশন বুলেটিন’ প্রকাশ করা শুরু করেছে। যার উদ্দেশ্য ‘সঠিক এবং সত্য তথ্য’ দিয়ে মিথ্যা সংবাদকে মোকাবিলা করা।