গরম ও বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। এ বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় এডিস মশার বিস্তার বাড়ছে। সে কারণে ডেঙ্গু জ্বর বেশি হচ্ছে।
ডেঙ্গু আক্রান্তের লক্ষণ
সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে। আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেয়ার পর আবারও জ্বর আসতে পারে।
এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় র্যাশ হতে পারে। তবে অনেক সময় জ্বর ছাড়া আর কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে।
যা খাবেন
প্রচুর পরিমাণে তরলজাতীয় খাবার পান করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস, খাবার স্যালাইন ইত্যাদি। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারবেন।
গায়ে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিনজাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর সময় অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধ সেবন করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের ভাগ
ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ভাগ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে এ, বি ও সি।
প্রথম ক্যাটাগরির রোগীরা স্বাভাবিক থাকে। তাদের শুধু জ্বর হয়। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী এ ক্যাটাগরির। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
বি ক্যাটাগরির ডেঙ্গু রোগীদের সবই স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তার পেটে ব্যথা হতে পারে। বমি হতে পারে প্রচুর কিংবা কিছুই মুখে নিতে পারবে না। অনেক সময় দেখা যায়, দুই দিন জ্বরের পরে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াই ভালো।
সি ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর সবচেয়ে খারাপ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউর প্রয়োজন হতে পারে।
তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে লক্ষণ বিচার করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিন।