কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত কলেজছাত্রের নাম সিয়াম (১৭)। সে তিতাস উপজেলার চর মোহনপুর গ্রামের মো. হেলাল সরকারের ছেলে। সিয়াম একটি পলিটেকনিকের ছাত্র ছিল।গ্রেপ্তাররা হলেন, মেঘনা উপজেলার ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও গ্রামের সাকিব হোসেন (১৯), নাজমুল হাসান (১৯), জোনায়েদ ইসলাম শুভ (১৭), সাইমুন মিয়া (১৯), মাসুম বিল্লাহ রনি (১৯), বালুচর গ্রামের ওমর ফারুক (১৯), জুনায়েদ আহমেদ সৌরভ (১৯) ও করিমাবাদ গ্রামের মুকুল আহমেদ রাব্বি (১৭)। তারা সবাই চলতি দাখিল পরীক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, নিহত সিয়ামের নিকট আত্মীয়র সঙ্গে মেঘনা উপজেলা ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও গ্রামের নাজমুল হাসানের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এতে বাধা দেয় সিয়াম। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার গাজীপুর আজিজিয়া সিনিয়র মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর নাজমুল, সাকিবসহ ৭-৮ জন সিয়ামকে আটক করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সিয়ামকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে নাজমুল।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় রেফার করা হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় সিয়ামের মৃত্যু হয়। মায়ের মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন মরিয়মেরতিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, ঘটনায় জড়িত আট জনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করা। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত সিয়ামের বাবা বাদি হয়ে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।