মন্দির থেকে সামান্য কিছু ফল ও আটা বাড়িতে নেয়ায় অপমাণ করা হয় রাজধানীর মিরপুরের কেন্দ্রীয় মন্দিরের সেবায়েত পরিক্ষিত দাশকে। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলায় মন্দিরের সভাপতিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
কোনো স্বর্ণালংকার কিংবা কষ্টিপাথর নয়, সামান্য কিছু ফল আর এক কেজি আটা মন্দির থেকে বাড়িতে নেয়ার অভিযোগে চরম অপমান করা হয় এ সেবায়েতকে। অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন ৬৫ বছর বয়সী সেবায়েত পরিক্ষিত দাশ। তিনি মিরপুর ১৪ নম্বরের কেন্দ্রীয় মন্দিরের সেবায়েত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ এক যুগ ধরে।
মন্দিরের সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১৬ আগস্ট রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাকে বাধা দেন সুমন শাহা নামে একজন। তিনি মন্দির কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা গেছে।
ব্যাগ চেক করে পাওয়া যায় সামান্য কিছু ফল আর এক কেজি আটা। মন্দির কমিটি চুরির অপবাদ দেয় পরিক্ষিত দাশকে। কমিটির সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দফতর সম্পাদকের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতেও দেখা যায় এ সেবায়েতকে। তবুও মন গলেনি মন্দির কমিটির সদস্যদের। তাকে চরম অপমান করা হয়। পরদিন সকালে মন্দিরের পেছনে সিঁড়ির রেলিংয়ের সঙ্গে ফাঁস দেয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সেবায়েতের মরদেহ। আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা করেন সেবায়েতের ছেলে ভক্ত দাশ।
ছেলের করা মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে মন্দির কমিটির সেই তিন সদস্যকে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো বিষয় কিংবা আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।