চীনের কর্তৃপক্ষ তীব্র খরা ও রেকর্ড দাবদাহের কারণে দেশটির মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমের কিছু অংশে বৃষ্টি নামানোর চেষ্টা করছে।
এরই মধ্যে এশিয়ার সবচেয়ে লম্বা জলপথ হিসেবে বিবেচিত ইয়াংসি নদীর পানির স্তর রেকর্ড নিচে নেমে গেছে এবং নদীর কিছু অংশে স্বাভাবিকের অর্ধেকের চেয়েও কম বৃষ্টি হয়েছে।
দেশটির কর্মকর্তা বলছেন, জলবিদ্যুতের জলাধারে পানি অর্ধেকের মতো কমে গেছে।
একই সময়ে তীব্র গরমে চীনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো মারাত্মক চাপে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে খরাপীড়িত ইয়াংসি নদীর আশপাশের প্রদেশে বৃষ্টি নামাতে ক্লাউড সিডিং অপারেশন চালাচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে বিশেষ রাসায়নিকবাহী রকেট ছোড়া হয়েছে।
হুবাই ও অন্যান্য প্রদেশে এই অপারেশন চালানো হলেও অনেক স্থানে পর্যাপ্ত মেঘের অভাবে বিশেষ রাসায়নিকবাহী রকেট ছোড়া স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে সিচুয়ানের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।
প্রদেশটিতে বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় এয়ার কন্ডিশনের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রির নিচে রাখতে বলা হয়েছে এবং শ্রমিকদের লিফটে চলাচল করতে নিষেধ করা হয়েছে।
সিচুয়ানের লাখ লাখ বাসিন্দা প্রায়ই বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়ছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, প্রদেশটির দাঝো শহরে লোডশেডিং দিনে ৩ ঘণ্টাও হচ্ছে। এ শহরের বাসিন্দা ৫৪ লাখ।
ন্যাশনাল ক্লাইমেট সেন্টার জানিয়েছে, দেশটিতে দুই মাসব্যাপী রেকর্ড তীব্র দাবদাহ চলছে।