দিনভর ছিল কাঠফাঁটা রোদ। বৃষ্টির দেখা মিলেনি। তবুও পানিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ও অলিগলি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে ছিলেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। কর্ণফুলী নদীর জোয়ারে গোড়ালি থেকে হাটু পানিতে তলিয়েছে এসব এলাকা।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে পানি ওঠা শুরু হয়। বিকেলে নেমে যায়। বাসা-বাড়ির পাশাপাশি দোকান ও গুদামেও পানি ঢুকেছে। নালা-নর্দমা ও খাল পরিষ্কার না থাকার কারণে এই জলাবদ্ধতা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ের সোবহান সওদাগর সড়ক ও মকবুল সওদাগর সড়ক, খাতুনগঞ্জ, রাজাখালী, ডিসি রোড, ফুলতলা, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, পাথরঘাটার আশরাফ আলী সড়ক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। এসব এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালগুলো যুক্ত হয়েছে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে। জোয়ারের পানি কর্ণফুলী নদী হয়ে খালগুলোর ভেতরে প্রবাহিত হয়ে দুই পাশ উপচে আশপাশের এলাকা তলিয়ে যায়।
অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে নিয়মিত ডুবে পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকা। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
এ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের কারণে কলাবাগিচা খাল ও দুটি নালায় প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে। এ জন্য পানি উঠলেও দ্রুত নামতে পারে না। তাই জলাবদ্ধতা হচ্ছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএকে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, চট্টগ্রামের জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে খালগুলোর মুখে স্লুইস গেট নির্মাণের কাজ চলছে। এগুলো চালু হয়ে গেলে আর এই দুর্ভোগ থাকবে না।
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করতে চউক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ১০ হাজার কোটি টাকার তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পের আওতায় নগরের ৪০টি খালের মুখে স্লুইচগেট নির্মাণ কাজ চলছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দুইটি ও সিডিএ একটি প্রকল্পের কাজ করছে। চউকের দুটি প্রকল্পের আওতায় ১৭টি খালের মুখে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৩ খালের মুখে স্লুইচগেট নির্মাণ করা হবে।