বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের সময়কার অফিসসূচিতে ফেরার সুপারিশ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক সভায়।
বৃহস্পতিবার ওই সভা শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘কোভিডের সময় জীবন অন্যভাবে ছিল। অফিসের সময় সংশোধন করা গেলে যেমন ৯টা থেকে ৩টা করা যায় কি না বা ঘরে বসে কাজ করতে পারি কি না, এটা সরকারের উচ্চ পর্যায় চিন্তা করতে পারে। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
‘আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা আছে। দাম না বাড়লে আমরা সবাইকে দিতে পারতাম। প্রধানমন্ত্রী দামের বিষয়ে সহনশীল হয়েছেন। সাবসিডি দেয়া হচ্ছে। কোথায় যাবে কেউ বলতে পারে না।’
তৌফিক বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের আগেই জানানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি; ফিল্ড লেভেলে কিছু কমিটি আছে। তারা এটাকে বাস্তবায়ন করে। এটা আমরা রিভাইব করছি।
‘কত উৎপাদন হবে, কত বিতরণ হবে, এটা জেনে পরে জানানো হবে। ডিপিডিসি অ্যাপ করে…সেখানে জানা যাবে।
‘মাঠ পর্যায়ের যারা, তারা বাস্তবায়ন করবে। কমিটিকে শক্তিশালী করব। এটা যেন সমতার মধ্যে থাকে, সেদিকে দৃষ্টি থাকবে।’
ড. তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। জাপানের আয় আমাদের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। সেখানেও লোডশেডিং হচ্ছে, তাদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে, বিদ্যুৎ জ্বালানি সাশ্রয়ের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াসহ সারা পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও লোডশেডিং হচ্ছে। তারাও সাশ্রয়ে মনোযোগী হচ্ছে। তাদের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। তবে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, চলমান এই পরিস্থিতি একটি যুদ্ধের মতো, সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি, তাহলে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব। এজন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। যার যার ঘরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার কমাব। এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে রাখা যাবে না, আলোকসজ্জা হবে না, বিয়েসহ নানা অনুষ্ঠান যেগুলো রাতে হয়, সেগুলো সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ করতে হবে।