Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ বুধবার, মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মৃত্যুদণ্ডের আগে যেসব খাবার খেতে চান আসামিরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২২, ১১:৪৭ AM
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২২, ১১:৪৭ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


বিভিন্ন অপরাধের শাস্তিস্বরূপ বিভিন্ন দেশে চালু রয়েছে মৃত্যুদণ্ডের বিধান। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে আসামির শেষ ইচ্ছা পূরণ করার বিধান রয়েছে দেশে দেশে। এর মধ্যে একটি হলোÑ ইচ্ছা মাফিক খাবার। অনেকে পরিবারের সদস্যের বানানো খাবার আবার অনেকে খেতে চান পছন্দের খাবার। এবার দেখে নেয়া যাক কেমন হয় তাদের পছন্দের খাবার। 

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায় লক্ষ্মীপুর গ্রামে দুই নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড হয় আজিজ ও কালুর। ২০২১ সালের ৪ঠা অক্টোবর রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মৃত্যুর পূর্বে টানা তিনদিন খাওয়ানো হয় পছন্দের খাবার। ২রা অক্টোবর শনিবার খাওয়ানো হয় গরুর কলিজা ও ইলিশ মাছ। রোববার গ্রিল ও নান রুটি এবং মৃত্যুপূর্ব মুহূর্তে সোমবার শেষ খাবার হিসেবে মুরগির মাংস, দই আর মিষ্টি।

প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ড পান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার মাকু রবিদাস। ১২ই জুলাই ২০১৬ সালে ফাঁসি কার্যকর করা হয় মাকুর।

মৃত্যুর পূর্বে মাকুর শেষ ইচ্ছানুযায়ী বনফুলের মিষ্টি, নারকেল, ডাব ও পোলাও খাওয়ানো হয়।

চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন হত্যা মামলার দুই আসামি নাইমুল ইসলাম এবং শিপন হাওলাদারকে ৮ই মার্চ ২০২২ সালে ফাঁসি দেয়া হয়। নাইমুল ও শিপনের শেষ খাবার ছিল নান রুটি আর গরুর মাংস। 

নির্ভয়া ধর্ষণ ঘটনাটি ভারতের হলেও আলোচনা হয়েছিল পুরো বিশ্বজুড়ে। মৃত্যুর রায় হওয়ার পরেই বিনয়ের মা আদালত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে অনুমতি চান ছেলের সবচেয়ে পছন্দের খাবার পুরি, সবজি, কচুরি খাওয়ানোর। পরবর্তীতে অনুমতি মিললে ফাঁসির আগে এসব খাবার পাঠানো হয়। তবে সে খাবার খেতে পারেনি কেউই। কেননা, মৃত্যুর পূর্বে হতাশা আর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় শেষ খাবার খাইনি বিনয়সহ কেউই।

তিনটি খুনের দায়ে আর্ল ফরেস্ট নামক এক ব্যক্তির ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করে মৃত্যু নিশ্চিতের রায় দেন দেশটির আদালত। তার শেষ খাবারের ইচ্ছায় ছিল স্টেক, পাস্তা, ফলের মিশ্রণ, চকোলেট কেক ও দুধ।

Bootstrap Image Preview