মমিনুল হকের বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম। শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে এসব কথা বলতে বলতে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন তিনি। জানান, আগুন লাগার পরপরই সাড়ে নয়টার দিকে ছেলের সঙ্গে তার প্রথম কথা হয়। প্রথমবার ছেলে ডিপোতে আগুন লাগার সংবাদ জানায়। তখন তাকে দূরে থাকতে বলেছিলেন।এরপর ফোন কেটে যায়। কিছুক্ষণ পর ছেলে আবার ফোন করে বলে, ‘আমার একটা পা উড়ে গেছে। আমি মারা যাচ্ছি বাবা, কালেমা পড়েছি। আমাকে মাফ করে দিও। এ কথা বলেই ফোন রেখে দেয়।’
তিন মাস আগে বিএম কনটেইনার ডিপোতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজে ঢুকেছিলেন মোমিনুল। সে হাজী মোহাম্মদ মহসীন কলেজে মাস্টার্সের ছাত্র। বাঁশখালী উপজেলার চনুয়া ইউনিয়নে তাদের বাড়ি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১ ঘণ্টা পার হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার পরই আবার বিস্ফোরণ হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। এরই মধ্যে তাদের ৫ কর্মী নিহত হয়েছেন।
রাত ৮টার পর বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে।