Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রেমের টানে এসে গাজীপুরের মেয়েকে বিয়ে করলো মার্কিন যুবক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ জুন ২০২২, ০৫:০৫ PM
আপডেট: ০৪ জুন ২০২২, ০৫:০৫ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


‘প্রেমের টানে’ যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে এক আমেরিকান যুবক গাজীপুরে এসে এক নারীকে বিয়ে করেছেন। বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিজুরি অঙ্গরাজ্যের ক্যানসাস সিটির নাগরিক রাইয়ান কফম্যান (২৭)। আর বউ গাজীপুর নগরীর বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেন মাস্টারের নাতনি সাইদা ইসলাম (২৬)।

রাইয়ান গত ২৯ মে বাংলাদেশে আসেন। পরিবারের সম্মতিতে বুধবার সাইদার সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

তাদের বিয়ে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়। আমেরিকা থেকে আসা ‘সুদর্শন’ ও ৬ ফুট উচ্চতার যুবককে এক নজর দেখার জন্য বিয়ে বাড়িতে অনেকে ভিড় জমায়।

কনের নানা মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তার মেয়ের জামাই ঢাকার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা সিকন্দার আলী ২০১৯ সালে মারা যান। তার মৃত্যুর পর সাইদা মা ও ছোট বোনকে নিয়ে তার বাসায় ওঠে এবং তখন থেকে তারা এখানেই থাকছে। সাইদা তার বাবা মারা যাওয়ার এক বছর পর ২০২০ সালে মানবিক বিভাগ থেকে স্নাতক পাশ করে।

রাইয়ানের সঙ্গে পরিচয় কিভাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইদা বলেন, ২০২১ সালে এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাইয়ানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারা নিজেদের ফোন নম্বর ও ফেইসবুক আইডি বিনিময় করেন। এরপর থেকে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ হতে শুরু করে। ফেইসবুক ও ফোনে ভিডিওকলে কথা বলতে বলতে নিজেরা আরও ঘনিষ্ঠ হন। এক পর্যায়ে দুজন দুজনকে ভালবেসে ফেলেন এবং প্রায় এক বছর তারা এভাবেই চুটিয়ে প্রেম করেন। শেষে দুজনই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

রাইয়ান বিয়ে করার জন্য তার দেশেই খ্রিস্টানধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তার ও সাইদার পরিবারের সম্মতিতে বাংলাদেশে আসেন তিনি। ওইসময় প্রথমবার দুজনের সামনাসামনি দেখা হয়। তারপর সাইদার সঙ্গে গাজীপুরে তার নানার বাড়িতেই ওঠেন রাইয়ান। পরে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন তারা।

বাংলাদেশে আসার আগেই বিয়ের গয়না ও কাপড় কেনার জন্য সাইদার কাছে অর্থ পাঠান রাইয়ান। তিনি আসার আগেই ওই অর্থ দিয়ে বিয়ের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেন সাইদা।

গত ৩ জুন শুক্রবার নব দম্পতি স্থানীয় চান্দনা চৌরাস্তা বাজারে কেনাকাটা করতে যান। এ দেশের বাজারের পরিবেশ নিয়ে এক মন্তব্যে রাইয়ান বলেন, “খুবই জনাকীর্ণ ও গোলমেলে। রাস্তাঘাটের পরিবেশ খুবই নোংরা।”

তবে সাইদার স্বজন ও বাংলাদেশিদের আতিথেয়তার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমেরিকায় অচেনাদের সঙ্গে কেউ খুব একটা কথা বলে না। কিন্তু বাংলাদেশে আসার পর দেখছি, আমার প্রতি সবাই খুবই আন্তরিক। আমার ক্ষুধা না লাগতেই লোকজন আমাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আমাকে আদর, আপ্যায়ন করতে সবসময় ব্যস্ত থাকেন তারা, যা আমেরিকায় বিরল।”   

সাইদাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে রাইয়ান বলেন, আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এসব সম্পন্ন হলেই সাইদাকে আমেরিকা নিয়ে যাবেন। পরে সেখানেই তারা সংসার করবেন।

এ বিষয়ে নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফয়সাল আহমেদ সরকার বলেন, “ইসলামী শরিয়া মোতাবেক আমেরিকার নাগরিকের সঙ্গে সাইদার বিয়ে হয়েছে বলে শুনেছি।”

Bootstrap Image Preview