নষ্ট করার চেষ্টা করছে হচ্ছে হিরো আলমের জনপ্রিয়তা।স্ত্রী নুসরাতের সঙ্গেঝামেলা হয়েছিল। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে কয়েকজন জনপ্রিয়তা নষ্ট করার সুযোগ নিচ্ছে- ফেসবুক লাইভে এসে এমন অভিযোগ করলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আশরাফুল আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী নুসরাতের সঙ্গে একটি 'বিচ্ছেদ চিঠি' ঘুরে বেড়াচ্ছিল।আশরাফুল নামের আইডি থেকেও পোস্ট করা হয়েছিল নুসরাত আর হিরো আলমের সঙ্গে সংসার করছেন না। পরে সে পোস্ট সরিয়ে ফেলেন হিরো আলম।
তবে আজ মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে এসে আশরাফুল আলম বলেন, আমি হিরো আলম জিরো থেকে হিরো হয়েছি। এখন তাই আমার পেছনে শত্রু লেগেছে। আসলে এর আগে একটি ডিভোর্স পেপার ফেসবুকে আপনারা দেখেছেন তা সত্য। কিন্তু সেটা অনেকদিন আগের। আমার আর নুসরাতের মাঝে ঝামেলা হয়েছিল। আমরা ডিভোর্স দিতেও চেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুই মাসের মধ্যে আমাদের ঝামেলা মিটে যায়, আবার আমরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করি। এখন আমাদের ঝামেলা নেই।
তিনি বলেন, একটি চক্র আমাদের নামে মিথ্যা তথ্যা ছড়াচ্ছে। বলছে আমাকে নাকি নুসরাত ডিভোর্স দিয়েছে। আমাকে যদি ডিভোর্স দিয়ে থাকে তাহলে আপনারাই নুসরাতকে ফোন দেন। দেখেন সে কী বলে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে নিয়মিত। আমি নাকি বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে নানা রকম অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত। এসব মিথ্যা।
হিরো আলমের প্রথম স্ত্রীর নাম সুমি। সে ঘরে তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। ২০১৯ সালে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে হিরো আলমের শ্বশুর গত ৬ মার্চ বগুড়া সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে এবং পরদিন আদালতে হাজির করে পুলিশ।
সে সময়ই দ্বিতীয় বিয়ের কথা শোনা গিয়েছিল যা হিরো আলম পরিস্কার করেননি। নুসরাতের বর্তমান স্ত্রী অবশ্য ডিভোর্স হয়েছে কি না সে বিষয়ে কথা বলতে চাননা। তবে ডিভোর্স বিষয়ক যেসব কাগজ ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসব সত্য নয় বলে জানান তিনি।
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়ার একজন কেবল ব্যবসায়ী ছিলেন। স্থানীয়ভাবে মিউজিক ভিডিও করে আলোচিত হন। এরপর নানাভাবেই আলোচিত এই সোশ্যাল সেলেব। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন টেলিভিশনের টক শোতে কথা বলার সুযোগ পান। এভাবেই নানা কারণে তিনি আলোচনায় রয়েই যাচ্ছেন