ডা. আব্দুন নূর তুষার।। বাঙালির জিভ বড় শক্তিশালী। সে ইফতারে বেগুন ভাজা খায়। এর নাম দিয়েছে বেগুনি। সীমান্ত পার হলে এর নাম হয় তেলেভাজা। আরো পশ্চিমে এর নাম পাকোড়া। বাঙালি এটাই খাবে। তের চৌদ্দ কোটি বেগুনির চাহিদা। দাম বাড়বেই। এটা নিয়ে ট্রল করা বন্ধ করেন।
একমাস বেগুনি আর ছোলা আর খেজুর খেয়ে জিভ শান্তি পেতে পারে কিন্তু এর সাথে পরকালের সওয়াব হাসিলের কোন সম্পর্ক নাই।
এগুলো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে পরকালে যাবার পথ সুগম করে।
অন্য সময় একশ টাকা দিয়ে কে এফ সির ঠোঙ্গাসর্বস্ব ফ্রেন্চ ফ্রাই খেলে মজা লাগে। পটেটো ওয়েজেস খেতে মজা লাগে। ডরিটোস নাচোস দোসা মজা লাগে।
শুধু ইফতারে বেগুন চাই।
অথচ আরবের ইফতারে প্রতিদিন বেগুনি না খেলেও আমাদের রমজান মাসে বেগুনির প্রতি জোসিলা ভালোবাসা উপচে পড়ে।
লেবানিজরা এটা ব্লেন্ড করে বা ম্যাশড খায়। এর নাম হলো বাবাগানুষ।
এত ভালোবাসলে সেটা বেশি দামেই খেতে হবে। এটা অর্থনীতির ডিমান্ড সাপ্লাই কার্ভ। না বুঝলে গুগলে দেখেন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরলভাবেই বলেছেন বিকল্প হিসাবে কুমড়ো ভাজা খাওয়া যেতে পারে। পেঁপে, কুমড়োর ফুল; পুঁইশাক এর পাতা বাঙালি এমনিতেও ভেজে খায়।
সবকিছু নিয়ে ট্রল না করে, এটা ভাবেন যে দেশের সবচেয়ে বড় পদে এই সরলতা আছে বলেই বাংলাদেশে এখনো আশার জায়গা আছে। ভরসার জায়গা আছে। শত সমালোচনার পরেও এই একটা জায়গায় গেলে প্রতিকার মেলে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর সন্তান। আমাদের মতো নব্বই দশকের ছাত্ররাজনীতির মানুষদের কাছে তিনি এখনো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার "আপা"।
এই সরল মানুষটিকেই আমরা চিনতাম; এখনো চিনি।
বাজারে বেগুন আশি টাকা। এটা খেতেই হবে; কোন জায়গায় লেখা নাই। উনি ঠিকই বলেছেন।
বেগুনের বদলে অন্য কিছু ভেজে রসনা বদল করলে কিছু অশুদ্ধ হয় না।
এটা নিয়ে ট্রল না করে নিজেদের জিভ সামলালে; সংযমী হলে ভালো হয়।
রমজানে কতো কিছুর লোভ সামলাতে পারেন আর বেগুনের লোভ সামলাতে পারেন না? এই নাকি সংযম আর ত্যাগ?
লেখাটি ডা. আব্দুন নূর তুষার এর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।।