নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবোঝাই লঞ্চকে পেছন থেকে ঠেলে ডুবিয়ে দেয়া রূপসী-৯ জাহাজটি আটক করেছে নৌপুলিশ। তবে এর চালক ও সুকানিদের ধরা যায়নি।
রোববার দুপুরে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে জাহাজটি মুন্সীগঞ্জ চলে যাওয়ার পর মেঘনা নদী থেকে সেটিকে আটক করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশের নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।
তিনি জানান, সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি লঞ্চটিকে ডুবিয়ে দিয়ে মেঘনা নদীতে যায়। সেখানে একটি ডকইয়ার্ডে জাহাজটি রেখে এর চালক ও সুকানিরা পালিয়ে গেছেন।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চমালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো জাহাজ একে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।
এদিকে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবিতে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন।
তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে শিশু ও নারী রয়েছে। সবার পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আরেফিন জানান, ৫০ জন যাত্রী নিয়ে এল এম আশরাফ উদ্দিন নামের লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। সদর উপজেলার আলামিন নগর এলাকায় রোববার দুপুর ২টার দিকে সিটি গ্রুপের কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এটি ডুবে যায়।