রাজধানীর একটি ড্রেনে নেমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলার লাউতলা খাল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ডিএনসিসি।
তিন দিনের অভিযানে খাল উদ্ধার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। একই সঙ্গে সেখানে পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেন সংস্কার করা হয়। সেই কাজের অগ্রগতি দেখতেই মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ড্রেনে নেমেছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বছিলার লাউতলায় মেয়র আতিকুল ইসলামের ড্রেনে নামার সেই ছবি ডিএনসিসি’র ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। সেই পোস্টে লেখা হয়, ‘জনগণের পয়সায় শহরোন্নয়নের কাজ হয়। জনগণ যাতে এর সর্বোচ্চ সুফলভোগী হয়, এটা নিশ্চিত করা জনপ্রতিনিধির কাজ। মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সেটা নিশ্চিত করতে নিজেই ড্রেনে নেমে কাজের মান পরীক্ষা করে দেখছেন। ’

এরপরই সেই ছবিগুলো ভাইরাল হয়। এমন কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, একটি ড্রেনে নেমে স্লাব ধরে ভেতরে দেখছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় তার পাশে আরও কয়েকজনকে দেখা যায়।
এ বিষয়ে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি, আমাদের ঠিকাদাররা মাঝে মধ্যে ড্রেনের ছাদ ঢালাই দিয়ে বাঁশের খুঁটি রেখে যায়। কারণ ওই বাঁশ খুলতে সময়, শ্রমিক, টাকা বেশি লাগে। অথচ বর্ষা মৌসুমে বাঁশের খুঁটিতে ময়লা-আবর্জনা আটকে নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।’
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আমি যখন মেয়র নির্বাচিত হই, তখন বলেছিলাম, আমি হঠাৎ ড্রেন নির্মাণ কার্যক্রম দেখতে যাব। ওই সময় এমন কয়েকটি আলামত পেয়েছি। তাই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিল আটকে দিয়েছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) মোহাম্মদপুরে একটি নির্মানণাধীন ড্রেন পরিদর্শন করেছি। দেখেছি ড্রেনের ভেতর কোনো বাঁশ বা আবর্জনা আছে কি না। কারণ ড্রেনের ভেতর কী কাজ হয়, বাইরে থেকে তা দেখা এবং বোঝা যায় না।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নির্মাণাধীন ড্রেন পরিদর্শন নিয়মিত করবো। আমি মেয়র নির্বাচিত হয়েছি, চেয়ারে বসে থাকার জন্য নয়। তাই কোথাও ড্রেনে বাঁশ দেখতে পেলে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। ওই ঠিকাদারকে দিয়ে কোনো কাজ করানো হবে না।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, বছিলা এলাকার একাধিক খাল আছে। কিন্তু একটিও এখন বুড়িগঙ্গার সঙ্গে যুক্ত নয়। এ কারণেই বৃষ্টি হলেও এই এলাকায় জলাবদ্ধতার ভোগান্তি হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই খাল অবৈধভাবে দখল করে আছেন। যারা অবৈধ দখলদার, তারা বিষয়টি নিজেরাই জানেন। তাই আমার কাছে না এসে নিজেরাই অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলেন। কারণ, খাল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। খাল জনগণের, সেটা জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ’