নিজস্ব প্রতিবেদক- কক্সবাজারের তরুণ উদ্যোক্তা ও হোটেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সুনাম নষ্ট করতে একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার অংশ হিসাবে ষড়যন্ত্রকারীরা গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং মানহানিকর সংবাদ প্রচার করছে।
এক প্রতিবাদ লিপিতে মহিউদ্দিন বলেছেন, আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার ব্যবসায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী একটি কুচক্রী মহল আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। এলাকায় আমার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে মহিউদ্দিনের বাড়ি মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল খালেকের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ নিয়ে তিনি দাবি করেন, প্রকাশিত সংবাদটি তার যে বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে প্রচার করা হয়েছে।

আবদুল খালেক বলেন, আমাকে মাসখানেক আগে একটি নাম্বার থেকে সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন দিয়ে মহিউদ্দিনের বিষয়ে জানতে চায়। তখন আমি তাঁকে বলেছিলাম, মহিউদ্দিন এলাকার ভালো ছেলে। তার নামে কোন ধরণের অভিযোগ নেই।
এদিকে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দাবি করেন, আমার নামে যে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূর্ণ আমাকে ব্যবসায়ী ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল মিথ্যা সংবাদ দিয়ে আমাকে হেনস্তা করার জন্য ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। সেই ২০০৮ সাল থেকে সুদীর্ঘ ১৩ বছর আমি সুনামের সহিত চাকরি এবং ব্যবসা করছি। আমার নামে যেসকল অভিযোগ তোলা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। আমার কোন ব্যবসায়ী অংশীদার, ব্যাংক এমনকি আমার কোন সাধারণ মানুষ আজ পর্যন্ত আমার দ্বারায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে কেউ কখনো বলতে পারবে না। আমি সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকি এবং অবৈধ কোন ব্যবসা এবং কোন লেনদেনের সাথে সম্পৃক্ত নই।
আমি উক্ত পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিককে বলতে চাই আপনাদের উচিত ছিল সঠিক তথ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার। কারণ এই মিথ্যা সংবাদের জন্য আমিও আমার পরিবারের সম্মান হানি হচ্ছে অতএব আপনাদের কাছে আশা রাখবো আপনারা সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে সত্যতা সবার সামনে তুলে ধরুন।
তিনি আরও বলেন, মিথ্যা এই সংবাদ বাংলাদেশের প্রচলিত ফৌজদারি এবং দেওয়ানি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রচলিত দণ্ডবিধি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এবং অন্যান্য আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই এ বিষয়ে যথাযথ তদন্তসহ উক্ত কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইনের আশ্রয় নিবেন।