Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ শুক্রবার, জুন ২০২৫ | ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘আমরা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম, আমাদের চাকরি কেন দিবে না’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:৪০ PM
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:৪০ PM

bdmorning Image Preview


চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে উপাচার্যকে ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন দৈনিক মজুরিতে কর্মরত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সোমবার বেলা ১২টায় প্রশাসন ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত উপাচার্য অফিসের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বলেন, ‘আমরা ছাত্র অবস্থায় ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম, আমাদের চাকরি কেন দিবে না?’

জানা গেছে, বেলা ১২টায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাসেল জোয়ার্দ্দার ও টিটুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫-৩০ দৈনিক মজুরিতে কর্মরতরা অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ সময় তারা উপাচার্য অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। প্রথমদিকে উপাচার্য সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানালে তারা শোরগোল শুরু করেন। ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি  হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন।

পরে দৈনিক মজুরিতে কর্মরতদের মধ্য থেকে দু’জন প্রতিনিধিকে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে বলেন প্রক্টর। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। পরে অস্থায়ী চাকরিজীবীদের পক্ষ থেকে দুই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন।

তারা অভিযোগ করেন, দেখা করতে গেলে উপাচার্য তাদের ‘হু আর ইউ’ বলেছেন।

এরপর তারা আবার উপাচার্য অফিসের সামনে  হট্টগোল শুরু করেন।

এ সময় তারা বলেন, ‘আমরা এ ক্যাম্পাসের কে সেটা দেখিয়ে দেব, আমরা দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্ভিস দিয়ে আসছি, আমরা ছাত্র অবস্থায় ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম, আমাদের চাকরি কেন দিবে না?’

পরে তারা দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে যাওয়া শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বাস ও মেইন গেট অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশের উপস্থিতিতে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক মজুরিতে কর্মরত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাসেল জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘চাকরি না দিলে আমরা কিন্তু সহজে ছাইরে দিবো না। আমাদের জীবন-যৌবনে অনেক হামলা-মামলা খাইছি। এখানে দু বছর চাকরি করেছি। চাকরি না দিলে আমাদের কোনো উপায় থাকবে না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আজকের আন্দোলনের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ ভুল ছিল। কর্তৃপক্ষ নিয়মের মধ্যে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে’।

তিনি আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে যদি এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য চাইব’।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, ‘অর্গানোগ্রামের বাইরে গিয়ে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব না। ইউজিসির পক্ষ থেকে এ মুহূর্তে তাদের নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা নেই। কাউকে চাকরি দিতে হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বা একটা এজেন্সির মাধ্যমে দিতে হবে। আমরা যখন সার্কুলার দেব, তখন তাদের কথা বিবেচনায় রাখব। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হলে অবশ্যই প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

উল্লেখ্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর সময়ে দৈনিক মজুরিতে আন্দোলনরতরা কাজের সুযোগ পান। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে থেকেই তারা স্থায়ী নিয়োগের জন্য বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

Bootstrap Image Preview