মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যূত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আরও চারটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্ডালের একটি আদালতে এ অভিযোগগুলো দায়ের করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
এর আগে সোমবার রয়টার্সকে এসব তথ্য জানান সু চির আইনজীবী মিন মিন সো।
প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্ডালের একটি আদালতে অভিযোগগুলো দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। এদিকে, সংঘাতপূর্ণ দেশটিতে দ্বন্দ্বমান পক্ষগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
নতুন এই অভিযোগগুলোর বিষয়ে সু চির আইনজীবীরা বিস্তারিত তথ্য পাননি। শুধু জানা গেছে, সেগুলো দুর্নীতি সংক্রান্ত এবং এরমধ্যে দুটিতে সু চি সরকারের সাবেক মন্ত্রী মিন থুকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সু চির আইনজীবী মিন মিন সো বলেন, ‘অভিযোগগুলো দুর্নীতি সংক্রান্ত। আমরা জানি না তারা কেন মামলাগুলো করলো? অথবা সুর্নিদিষ্ট কারণই বা কী? আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবো।’
নতুন মামলাগুলোর ফলে সু চিকে দেশটির তিনটি ভিন্ন শহরের আদালতের মোকাবিলা করতে হতে পারে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাচ্যূত হন সু চি। এরপর তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ওয়াকি টকি রেডিও আমদানি ও সংরক্ষণ এবং করোনাভাইরাস প্রোটোকল ভাঙার অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়াও ইয়াঙ্গুনের একটি আদালতে তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ভাঙারও অভিযোগ আনা হয়। এ অপরাধ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সাজা হতে পারে।
তবে সবগুলো অভিযোগই মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবীরা।
এদিকে, নতুন করে আনা অভিযোগের বিষয়ে মুখ খোলেনি বর্তমানে দেশটির ক্ষমতায় থাকা সেনাবাহিনীও। সোমবার সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র শুধু বলেছেন, স্টেট কাউন্সেলর পদটি সৃজনের সময় সু চি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।