মহাকাশ ভ্রমণ শেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন। রবিবার (১১ জুলাই) ব্র্যানসনসহ ছয় যাত্রী নিয়ে ভার্জিন গ্যালাকটিক নামে রকেটটি মহাকাশের দ্বারপ্রান্তে ভ্রমণের পর নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্রে নিউমেক্সিকোতে অবতরণ করে।
রোববার নিজের কোম্পানির তৈরি রকেটে চেপে মহাশূন্যে ভ্রমণ করেন তিনি। ভ্রমণ শেষে রকেটটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউমেক্সিকোতে অবতরণ করে
বিবিসি জানায়, এক ঘন্টাব্যাপী এই মহাকাশ যাত্রায় ইউনিটি-২২ নামের এই মহাকাশযানটি ঘণ্টায় তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতি উড়ে যায়। এ সময় কয়েক মিনিট ধরে রকেটের ছয় যাত্রী ভরশূন্যতার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
ভ্রমণ শেষে রিচার্ড ব্র্যানসন বলেন, এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের ভেতর দিয়ে মহাকাশে পর্যটনের নতুন এক যুগের সূচনা হবে।
জানা যায়, আগামী বছর বাণিজ্যিকভাবে এই এ ধরণের পর্যটন শুরুর কথা রয়েছে। তবে মহাশূন্যে যারা বেড়াতে যেতে চাইবেন তাদের বেশ অর্থবান হতে হবে।মহাশূন্যে কয়েক মিনিটের অভিজ্ঞতার জন্য প্রতিটি টিকিটের ব্যয় পড়বে আড়াই লাখ ডলার।
মহাশূন্যে অভিযানের এই পথটি রিচার্ড ব্র্যানসনের জন্য সহজ ছিল না। তিনি ২০০৪ সাল থেকে মহাশূন্যে বাণিজ্যিক ভ্রমণ চালু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। কথা ছিল ২০০৭ সালেই এই ভ্রমণ চালু হবে, কিন্তু রকেটে প্রাণঘাতী এক বিস্ফোরণের পর উদ্যোগটি মাঝপথে থেমে যায়।
রিচার্ড ব্র্যানসনের মতোই অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোসও এ মাসের পরের দিকে তার কোম্পানির তৈরি রকেটে চড়ে মহাশূন্যে বেড়াতে যাওয়ার কথা রয়েছে।
৭১ তম জন্মদিনের এক সপ্তাহ আগে নিজের স্বপ্ন পূরণ করলেন ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার রিচার্ড ব্র্যানসন। বিভিন্ন সময়ে নানা দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন ব্র্যানসন। এবার তিনি গেলেন মহাকাশ ভ্রমণে।
রিচার্ড ব্র্যানসনের মতোই আরেকজন বিলিওনেয়ার উদ্যোক্তা অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোসও চলতি মাসের শেষের দিকে তার কোম্পানির তৈরি রকেটে চড়ে মহাশূন্যে ভ্রমণে যাবেন বলে কথা রয়েছে।
পৃথিবী থেকে ১৫ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে মূল মহাকাশযান থেকে 'ইউনিটি' নামের রকেট বিমানটি উৎক্ষেপন করা হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠে ইউনিটি। জিরো গ্র্যাভিটির অভিজ্ঞতা নিয়ে আবারও পৃথিবীর পথে যাত্রা করেন তারা।