Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ সোমবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

কুমিল্লায় সৌদিয়া বাসে পরিবেশ বিজ্ঞানী আনিসুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২১, ০৬:৩০ PM
আপডেট: ০৮ জুন ২০২১, ০৬:৩১ PM

bdmorning Image Preview


পরিবেশ বিজ্ঞানী, বন্যপ্রাণী ও বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ পরিকল্পনাবিদ আনিসুজ্জামান খান মারা গেছে।

সোমবার (৭ জুন) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কুমিল্লার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের টাইমস স্কয়ারের সামনে যাত্রা বিরতি নেয়া সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস থেকে তার লাশ উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।  প্রাথমিকভাবে তার হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে মনে করছেন পুলিশ।

চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, সৌদিয়া পরিবহনের এক কর্মীর ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে বাসের সিটে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

বাসের যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম গামী সৌদিয়া বাস টাইমস স্কয়ারে যাত্রাবিরতি দেয়। এসময় বাসে থাকা ওই যাত্রীর কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে তারা এসে তার লাশ উদ্ধার করে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভরঞ্জন চাকমা জানান, যাত্রীরা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তিনি সিটে বসা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার লাশ রাত সাড়ে আটটায় স্বজনদের কাছে ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য আনিসুজ্জামান খান সর্বশেষ যে প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করতেন সেই ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমেদ টিবিএসকে জানান, প্রতিষ্ঠানের একটি প্রকল্পের কাজে কক্সবাজার ছিলেন আনিসুজ্জামান। সেখান থেকেই ঢাকা ফিরছিলেন। চৌদ্দগ্রাম থানার কাছ থেকে তারা আনিসুজ্জামানের মুত্যুর খবরটি জেনেছেন।

পুলিশ এবং সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, আনিসুজ্জামান হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।১৯৫৭ সালে ঢাকার ধামরাইয়ের বাল্লিয়া বড় বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আনিসুজ্জামান। এরপর মানিকগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড দেবেন্দ্র কলেজ উচ্চ-মাধ্যমিক পাস করার পর বিএসসি অনার্স ও এমসসি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

কক্সবাজার- টেকনাফ হাতি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অধীনে তার বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক কর্মজীবনের সূত্রপাত।

এরপর তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) ও বিসিএএস এই দুই সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। পরবর্তীকালে তিনি প্রকৃতি সংরক্ষণবাদী আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে নাকোম (ন্যাচার কনজার্ভেশন মুভমেন্ট) নামক একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি দুবাই মিউনিসিপালটিতে চার বছর একজন পরিবেশ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর, আমৃত্যু তিনি ইসাবেলা ফাইন্ডেশনে প্রধান বিজ্ঞানী হিসেবে ছিলেন।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও সংরক্ষণবিদ ড. রেজা খানের ছোট ভাই ছিলেন আনিসুজ্জামান। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

Bootstrap Image Preview