যশোরে আদালত প্রাঙ্গণে পারিবারিক সহিংসতা মামলার আসামি জুয়েল রানাকে তার স্ত্রী ও শাশুড়ি মারপিট করেছে। এ ঘটনা জানতে পেরে জুয়েল রানার স্ত্রী লাবনী খাতুন ও তার মাকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আটক রাখার আদেশ দেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) মামলার শুনানির দিন এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি যশোর সদর উপজেলার তপসীডাঙ্গার আক্কাস আলীর মেয়ে লাবনী খাতুনকে বিয়ে করেন বাঘারপাড়ার বন্দবিলা গ্রামের জুয়েল রানা। এরপর যৌতুকের দাবিতে রানা নির্যাতন শুরু করেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর রানাকে আসামি করে আদালতে পারিবারিক সুরক্ষা আইনে মামলা করেন লাবনী খাতুন। বৃহস্পতিবার এ মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। আদালতে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তারা বিষয়টি মীমাংসা করে নেবেন বলে জানান।
আদালতের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর জুয়েল রানা নিচে নেমে আসেন। এ সময় লাবনী ও তার মা জুয়েল রানাকে মারপিট করে। তখন উপস্থিত আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা রানাকে উদ্ধার করে। পরে আইনজীবীর মাধ্যমে জুয়েল রানা আদালতের বিচারককে অবহিত করলে মামলার বাদী লাবনী ও তার মাকে এজলাসে এনে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত আটক রাখার নির্দেশ দেন।
অপরদিকে মামলার বাদী লাবনীর আইনজীবী নুরুজ্জামান সংশ্লিষ্ট বিচারকের সাথে দেখা করে তাদের মুক্তির আবেদন জানান। বিচারকের আদেশে সন্ধ্যা ছয়টার পর তাদের মুক্তি দেয়া হয়।