না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। তার মরদেহ দুপুরে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা শেষে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর পর বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকেই সৈয়দ আবুল মকসুদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় তাকে দ্রুত পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী সুলতানা মকসুদ, ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ ও মেয়ে জিহাদ মকসুদসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো আলাদা শোকবার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
সৈয়দ আবুল মকসুদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর। তিনি তার গবেষণাধর্মী প্রবন্ধের জন্য সুপরিচিত। তার প্রবন্ধসমূহ দেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়। তিনি বিখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবনী ও কর্ম নিয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন। পাশাপাশি কাব্যচর্চাও করেছেন। তার রচিত বইয়ের সংখ্যা চল্লিশের ওপর। জার্নাল অব জার্মানি তার লেখা ভ্রমণকাহিনী। বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।