ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আনসার ক্যাম্পের সামনে ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন দিপালী রানী (৪৫) ওরফে ফাতেমা বেগম নামে এক হোটেল কর্মচারী। গত সোমবার রাত দশটার দিকে পিছন দিক থেকে একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। তার শরীর থেতলে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে ঐশী হোটেলের কর্মচারী ছিলেন নিহত ফাতেমা। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার সাদিপুর গ্রামের ট্রাকচালক স্বপন কুমার দাসের প্রথম স্ত্রী। তিনি তিন কন্যা সন্তানের জননী। পরে তিনি দুই মেয়েসহ মুসলমান হয়ে মুসলিম ছেলের সঙ্গে বিয়ে করেন।
ঐশী হোটেলের মালিক শ্রী নিতাই কুমার ঘোষ জানান, হোটেলের কাজ শেষ করে রাত দশটার দিকে দিপালী রানী খড়ি ব্যবসায়ী জামাল হোসেনের সাথে কোর্ট পাড়ার ভাড়া বাড়িতে ফিরছিলেন। তারা আনসার ক্যাম্পের সামনে রাস্তায় পৌঁছালে একটি দ্রুতগামী ট্রাক চাপা দিলে দিপালী রানী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ঐশী হোটেলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম আশংকা করে জানান ক’দিন আগে ফাতেমার সাবেক স্বামী ট্রাক ড্রাইভার স্বপন কুমার খোঁজ নিতে আসে তার প্রথম স্ত্রী কখন রাতে বাসায় যায় আসে। এটা নিছক সড়ক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড তা নিয়ে গোটা বিষয়টি ধোঁয়াশা হলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে দিপালী রানীর সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
হোটেল মালিক নিতাই কুমার ঘোষের ভাষ্যমতে ৬ দিন আগে কে বা কারা ফাতেমাকে খোঁজ করতে আসে। তবে পুলিশ ঘটনাটি সড়ক দুর্ঘটনা বলেই মনে করছে। এই দুর্ঘটনায় ঐশী হোটেলের খড়ি ব্যবসায়ী লক্ষীকোল গ্রামের ইলাহি মন্ডলের ছেলে জামাল মন্ডল গুরুতর আহত হয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।