মাদারীপুর সদর উপজেলায় চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার সকালে একই পরিবারকে চারজনকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের ভরুয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ভরুয়াপাড়া গ্রামের ছালাম হাওলাদারের বড় ছেলে আল-আমিন ঢাকায় থাকেন। শনিবার রাতে ছেলের বন্ধু পরিচয়ে পুলিশের এসআই সেজে রবিউল ইসলাম নামে এক যুবক ছালাম হাওলাদারের বাড়িতে আসেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে রবিউলকে এক কাপ চা ও বিস্কুট খেতে দেয়া হয়। পরে তিনি কৌশলে চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে বাড়ির সবাইকে খাইয়ে দেন। এরপর প্রতারকরা স্বর্ণালংকার, টাকা, মোটরসাইকেলসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
রোববার সকালে ঘরের দরজা বন্ধ দেখলে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে দরজা ভেঙে সবাইকে অচেতন দেখতে পায়। এ সময় আল-আমিনের মা হাসিয়া বেগম, ভাই ইমরান হাওলাদার, চাচি মনোয়ারা বেগম ও মনোয়ারা আক্তারকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সদর থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।