দীর্ঘ ৯ বছর আগে ঢাকার তুরাগ থানার রানাভোলায় স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বামী মো. শহিদুল ইসলামের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় আসামি শহিদুল ইসলামকে কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর আদালতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাকে আদালতের গারদে রাখা হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে এজলাসে তোলা হয়। পরে বেলা সোয়া ১২টার দিকে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। রায় পড়া শেষে আদালত বেলা ১২ টা ২০ মিনিটে আসামির খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২২ আগস্ট রাত ১২টা থেকে রাত ৩টার মধ্যে ঢাকার তুরাগ থানাধীন রানাভোলাস্থ জৈনক মুক্তার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আসামি মো. শহিদুল ইসলামের বসত ঘরে তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরুদ্ধসহ হত্যা করে। এ ঘটনার সময় জেসমিন আক্তারের সাড়ে চার বছরের বয়সের কন্যা সন্তান তাসমিনা আক্তার ঘটনা নিজ চোখে দেখে ফেলে। পরবর্তীতে আসামী মো. শহিদুল ইসলাম বাসার তালা লাগিয়ে তার কন্যা সন্তান তাসমিনা আক্তারকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা কন্যা সন্তান তাসমিনা আক্তারকে আসামি মো. শহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। পরে কন্যা সন্তান তাসমিনা আক্তার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেয়।
২০১২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়। এ মামলা চলাকালীন মোট ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।