মঙ্গলবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ভাসানচরে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে রওনা হয়েছেন ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা।
এর আগে সোমবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ৩০টি বাসে ৪২৭ পরিবারকে চট্টগ্রাম ট্রানজিট ক্যাম্পে নেওয়া হয়।
গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত হন। ২৫ দিনের মাথায় মঙ্গলবার হচ্ছে আরেক দফা স্থানান্তর।
গত ৪ ডিসেম্বর যাদের আত্মীয়-স্বজন ভাসানচরে গেছেন তাদের কাছে সুযোগ-সুবিধার খবর শুনে এবার নিজেরাই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন।
জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের তালিকাভুক্ত (রেজিস্টার) ক্যাম্প ছাড়া বাকি সব ক্যাম্প থেকেই এবার রোহিঙ্গারা ভাসানচর যাচ্ছেন।
অবশেষে এই যাত্রা শুরু হওয়ায় উখিয়া-টেকনাফের সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করছেন। নোয়াখালীর হাতিয়ায় সাগরের মধ্যে ভেসে থাকা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বসবাসের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা দেখতে গত সেপ্টেম্বরে দুই নারীসহ ৪০ রোহিঙ্গা নেতাকে সেখানে নিয়ে যায় সরকার।
দুবছর আগে সরকার ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তাদের অনিচ্ছার কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না।
ভাসানচরের উদ্দেশ্যে তিন ঘন্টার নৌযাত্রায় রোহিঙ্গাদের দেওয়া হয়েছে দুপুরের খাবার, আছে নৌবাহিনীর জরুরি মেডিকেল টিমও।