বিডিমর্নিং ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে চীনের মহাকাশযান। তবে ফেরার সময় চাঁদ থেকে দুই কিলোগ্রাম পাথর ও মাটি নিয়ে এসেছে। এর ফলে ৪৪ বছর পর আবার চাঁদের মাটি ও পাথর এলো।
পরিকল্পনামাফিক ভাবেই পৃথিবীতে অবতরণ করেছে ক্যাপসুলটি। পৃথিবীতে নামার আগে ক্যাপসুলটি অরবিটার মডিউল থেকে আলাদা হয়ে যায়। গতিবেগ কমে যায়। তারপর প্যারাসুট করে তা নেমে আসে ইনার মঙ্গোলিয়ার সিজিয়াংয়ে।
হেলিকপ্টার ও গাড়ি তৈরি ছিল। তখনও ভালো করে ভোরের আলো ফোটেনি। আধো অন্ধকারে ক্যাপসুলটি উদ্ধার করা হয়। চীনের সরকারি চ্যানেল চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ৩০০ কেজির ক্যাপসুল উদ্ধার করতে সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা পৌঁছান। তারা ক্যাপসুলটি দেখে সেটিকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান।
সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস জানাচ্ছে, চন্দ্রাভিযান সফল হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সকলকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পর বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসলো চীন।
ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদ থেকে সংগৃহীত এই নতুন নমুনা সেখানকার ভূতত্ত্ব ও প্রাথমিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন অন্তর্জ্ঞানের উৎস হতে পারে। মহাকাশে চীনের সক্ষমতা যে বাড়ছে, তার আরেকটি প্রমাণ চ্যাঙ ই-৫ মিশনের সফল সমাপ্তি। সাত বছরের মধ্যে এটি ছিল চীনের তৃতীয় সফল চন্দ্রাভিযান। গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে চ্যাঙ ই-৫ নভোযান চন্দ্রাভিযানে যায়।
এদিকে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাকডোনেল সেন্টার ফর স্পেস সায়েন্সের ডিরেক্টর ব্র্যাড জলিফ বলেছেন, চাঁদ থেকে আনা এই মাটি ও পাথর অমূল্য সম্পদ। এই কঠিন মিশন সফল করার জন্য আমি চীনের বিজ্ঞানীদের কুর্নিশ জানাচ্ছি। এই মাটি ও পাথর বিশ্লেষণ করে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। আমার আশা বিশ্বের বৈজ্ঞানিকরা বিশ্লেষণের কাজ করতে পারবেন।