রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন জিসান হাবিব (১৮) নামে এক কলেজছাত্র। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার সঙ্গে থাকা রুহুল আমিন (১৭) নামে আরেক শিক্ষার্থী। হতাহতরা পরস্পর আত্মীয় ছিলেন।রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ঘটনা ঘটে।
উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল হক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসের যাত্রী ছিলেন জিসান ও রুহুল আমিন। রুহুল আমিন বাসের জানালার পাশে বসেছিলেন। আব্দুল্লাহপুর এলাকায় বাসটি পৌঁছলে জানালা দিয়ে এক ছিনতাইকারী তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। মোবাইল উদ্ধারের জন্য তারা বাস থেকে নেমে ছিনতাইকারীর পিছু নিলে ওই দুর্বৃত্ত তাদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হলে তাদের শহিদ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক জিসান হাবিবকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে রুহুল আমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। নিহতের মামাতো ভাই ইকবাল বলেন, ‘জিসান ও রুহুল সম্পর্কে আত্মীয়। গত ২৭ নভেম্বর জিসান সাভারের নবীনগরে আমাদের বাসায় বেড়াতে আসে। বুধবার দিবাগত রাত ২টায় আমাদের এক আত্মীয়ের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট ছিল। তাকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে বাসে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।’
তিনি আরও জানান, নিহত জিসানের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার বিহেরগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম আবুল বাশার। সে নোয়াখালী খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। দুই ভাই, তিন বোনের মধ্যে জিসান ছিল তৃতীয়। আহত রুহুল আমিন ঢাকার ধামরাইয়ের একটি স্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই শামসুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জিসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।