হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা আহমদ শফীর মৃত্যুর খবরে পেয়ে তার তাঁকে একনজর দেখার জন্য এবং জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য হাসপাতালের সামনে ভিড় করেছেন হাজারো মানুষ, আলেম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা।
হাজারো ভক্ত, আলেম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় আজগর আলী হাসপাতালের সামনে ভিড় করেছেন। হাজারো মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেকোনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, রয়েছে র্যাবের টহল।
হাসপাতালের সামনের রাস্তা যানবাহনশূন্য রাখার জন্য দয়াগঞ্জ মোড়ে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। হাসপাতালের সামনের রাস্তায় কোনও যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
দয়াগঞ্জ মোড়ে দেওয়া ব্যারিকেডে দায়িত্বে থাকা এস আই দীপংকর বলেন, ‘হাসপাতালের সামনের রাস্তায় কোনও গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ঊর্ধ্বতনদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’
আজগর আলী হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছেন উপস্থিত শিক্ষার্থী ও আলেমদের একাংশ। তারা হাসপাতালের গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পুলিশ বাধা দেওয়ায় কিছু সময় বাকবিতণ্ডা হয়।
ঢাকায় জানাজার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন একজন আলেম। তিনি বলেন, মুরুব্বিরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য বসেছেন। ওখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে রাত ৯টার দিকে মাওলানা আহমদ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী ঘোষণা দেন, মরদেহ চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তার বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী সেখানেই একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর থেকেই ঢাকায় জানাজার দাবিটি জোরালো হয়।
লালবাগ থেকে হাসপাতালের সামনে এসেছেন মাওলানা মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘হুজুরের অসংখ্য ছাত্র ঢাকায় রয়েছে। উনাকে ভালোবাসেন এমন মানুষের সংখ্যাও অসংখ্য। আমরা চাই ঢাকায় একটা জানাজা হোক।’
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় আজগর আলী হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তার মৃত্যুর খবরে হাসপাতাল এলাকায় ছুটে এসেছেন হাজারো ভক্ত, আলেম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী।