এ দুই অভিজ্ঞ পেসারের বদলে তরুণ শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ মুসা, হারিস রউফ, আহমেদ বাটদের ওপরই বেশি ভরসা করেছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ উল হক। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন আমির ও ওয়াহাবের দুজনই।
বিশেষ করে ২০১৮ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়েছে সবচেয়ে বেশি (২১) উইকেট শিকার করেছেন আমির। এছাড়া চলতি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও আগুন ঝরিয়েছেন ওয়াহাব ও আমির। প্লে অফ ম্যাচে আমিরের রেকর্ড গড়া বোলিং ফাইনালের টিকিট পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। ওয়াহাব এক ম্যাচে মাত্র ৮ রানে নিয়েছিলেন ৫টি উইকেট।
তবু নেয়া হয়নি আমির বা ওয়াহাবকে। দলে সুযোগ না পাওয়ার বিষয়ে ওয়াহাব কিছু না বললেও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিম ম্যানেজম্যান্টকে জবাব দিতে ছাড়েননি আমির। তবে সরাসরি আক্রমণাত্মক কিছু না বলে, সূক্ষ্ম এক খোঁচাই দিয়েছেন এ বাঁহাতি পেসার। তার মতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার কারণেই এবার টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড থেকে বাদ দিয়েছে বোর্ড।
পাকিস্তানি সাংবাদিক জয়নব আব্বাস টুইটারে লিখেছিলেন, ‘মাত্রই বিপিএলে ৬ উইকেট নিলেন আমির। তাহলে ঠিক কোন কারণে তাকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হলো?’ এর প্রতিউত্তরে ছোট্ট করে আমি লিখেছিলেন, ‘কারণ হলো টেস্ট ক্রিকেট (হাসির ইমোটিকন)।’
তবে এই রিটুইট বেশিক্ষণ রাখেননি আমির। মুছে দিয়ে নতুন করে তিনি লিখেন, ‘কেউ চিন্তা করবেন না। সবাই স্বাভাবিক থাকুন, ফূর্তি করুন। আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবো ইনশাআল্লাহ্।’
প্রথম রিটুইট আমির মুছে দিলেও স্ক্রিনশটের মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা নিয়ে এখন চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
তবে আমিরক-ওয়াহাবকে বাদ দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মিসবাহ বলেছেন, ‘আমরা তরুণ খেলোয়াড়দের ব্যাপারে ধারাবাহিক হতে চেষ্টা করেছি। আমির এবং ওয়াহাবের মতো সিনিয়রদের বাইরে রাখা বেশ কঠিন। তাদের বাদ দেয়ার একমাত্র কারণ হলো একাদশে তরুণদের সুযোগ করে দেয়া।’