নোয়াখালীতে সোনালী ব্যাংকের চরবাটা শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নূর নবীকে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভূয়া ঋণবন্ড তৈরি করে ১৪ জন গ্রাহকের নামে সাত লাখ টাকা আত্মসাৎ করায় তাকে আটক করেছে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার দুপুরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় নোয়াখালী চরজব্বর থানার চরবাটা গ্রামের মৃত মকবুল আহমেদ চৌধুরীর ছেলে সাবেক সোনালী ব্যাংক চরবাটা শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ নুর নবী চৌধুরীসহ আরো আটক হন শহীদ উদ্দিন মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন ভূঁইয়া, নুরুজ্জামান ওরফে বাচ্ছু মিয়া ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সোনালী ব্যাংক চরবাটা শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ নুর নবী চৌধুরী ২০১০-২০১৪ সময়ে দায়িত্বকালীন ১৪ জন গ্রাহকের নামে স্থানীয় দালাল ২-৩নং আসামির মাধ্যমে ভূয়া ঋণবন্ড তৈরিপূর্বক স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া ঋণ বিতরণ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে।
যাদের নামে টাকা আত্মসাৎ করেন তারা হলেন চরজব্বর থানার চরবাটা গ্রামের, ইব্রাহিম খলিল, পিতা: আবুল খায়ের, জনাব সুক্কুর আহমদ, পিতা: মোজাক্কের হোসেন, বিপ্লব চন্দ্র দাস, পিতা: অরুন চন্দ্র, মোঃ আঃ মালেক, পিতা: মোঃ আলম, আঃ রব, পিতা: আঃ ছোবহান, মোঃ আলাউদ্দিন, পিতা: আব্দুর রব, আবুল কালাম, পিতা: মকবুল আহমদ, আবুল কাসেম, পিতা: তমামুল হক,খবির আহাম্মদ, পিতা: নজির আহাম্মদ, নুর নবী, পিতা: মকবুল আহমদ, আবুল খায়ের, পিতা: রায়হান আলী, মোঃ বাবুল, পিতা: আবুল খায়ের, মোঃ মহিব উল্যা, পিতা: মৃত জেবল হক, আলী আক্কাস, পিতা: আব্দুর রব প্রমুখ এদের প্রত্যেকের নামে ৫০,০০০ টাকা করে ঋণ আদায় দেখানো হয়।
এ বিষয়ে নোয়াখালী দূর্নীতি দমন কমিশন এর সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ১৪ জন গ্রাহকের নামে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়ায় ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিধায় তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।