Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

আবারো মার্কিন ঘাটিতে ইরানের রকেট হামলা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী ২০২০, ০৩:৫৯ PM
আপডেট: ১৫ জানুয়ারী ২০২০, ০৩:৫৯ PM

bdmorning Image Preview


বাগদাদে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অবস্থান করা ইরাকি বিমান ঘাঁটিতে নতুন করে রকেট হামলা হয়েছে। ইরাকি সামরিক বাহিনীর বরাতে মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।

তবে ক্যাম্প তাজিতে কয়টি রকেট আঘাত হেনেছে তা জানানো হয়নি। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে খবরে বলা হয়েছে।

এদিকে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতির বিরুদ্ধে ১০ লাখ লোকের দীর্ঘ পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন তেজদীপ্ত ইরাকি নেতা মোকতাদা আল-সদর। এর মধ্যেই এই কাতিউশা রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি বলে রয়টার্সের খবর জানিয়েছে। জোট বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল মেইলিস কগিন বলেন, তাজি ঘাঁটিতে ছোট্ট হামলায় আমাদের কেউ হতাহত হননি।

বাগদাদের ৮৫ কিলোমিটার উত্তরে ইরাকের এই সামরিক ঘাঁটিতে বড় সংখ্যক মার্কিন ও বিদেশি বাহিনীর সদস্য অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সেনাদের অবস্থান এই ঘাঁটিতে।

মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর এই ঘাঁটি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে আসছে।এর আগে সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ইরাক ছাড়তে একটি প্রস্তাব পাশ করেছে দেশটির পার্লামেন্ট।

সদর বলেন, দখলদার বাহিনীর উপস্থিতিতে আমাদের আকাশ, ভূমি ও সার্বভৌমত্বের নিয়মিত লঙ্ঘন ঘটছে। ইরাকিদের কাছে আমরা শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার আহ্বান জানাচ্ছি।গত রোববার বালাদ বিমান ঘাঁটিতে রকেট হামলায় ইরাকি সামরিক বাহিনীর চার সদস্য আহত হয়েছেন।

ইরাকের এফ-১৬ বিমানের প্রধান ঘাঁটি হচ্ছে আল-বালাদ। বিমান সক্ষমতা বাড়াতে এসব বিমান যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল।

মার্কিন ঠিকাদারসহ দেশটির বিমান বাহিনীর একটি দল এই ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। যদিও গত দুই সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার কারণে বড় একটি সংখ্যক অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন উপদেষ্টা এবং স্যালিপোর্ট ও লকহিড মার্টিনের কর্মীদের ৯০ শতাংশ তাজি ও ইরবিল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এসব কর্মীরা বিমান ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সেখানে ১৫ জনের বেশি মার্কিন সেনা ও একটি বিমানের বাইরে কিছু নেই। বাকিরা চলে গেছেন।

Bootstrap Image Preview