বিদেশি সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে এবার জার্মানির সঙ্গে আলোচনায় বসেছে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইরাক। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে জার্মান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম ‘আল-জাজিরা’ জানায়, ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আমন্ত্রণে তার দপ্তরে এ সংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নেন জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক পরিচালক ফিলিপ অ্যাকারমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইরাকে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলে দিহ।
বাগদাদ সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি আসন্ন যুদ্ধের হুমকি মোকাবিলায় সহযোগিতার পথ নিয়ে আলোচনা হয়। তাছাড়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়েও কথা হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বলেছিলেন, ইরাক থেকে সামরিক উপস্থিতি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। খুব শিগগিরই এই কার্যক্রম শুরু হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহতের পর সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণেই জার্মান সরকার সিদ্ধান্তটি নিল।
এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।
সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ইস্যুতে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। যা এখনো বিদ্যমান রয়েছে।