কিশোরীর বাবা বছর খানেক আগে পাশের এক মুরগি বিক্রেতার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেছিলেন। মেয়েকে ধর্ষণের সুযোগ দিলে টাকা ফেরত দিতে হবে না, এমন শর্ত বেঁধে দেন ওই মুরগি বিক্রেতা। বাবাও ধারের টাকা শোধ করতে না পেরে মেয়েকে তুলে দেন ধর্ষকের হাতে। এরপর থেকেই ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে আসছিল।
ধর্ষক ওই কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। জরুরি হেল্পলাইন ৯৯৯-এ ফোন দিলে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ১২টায় কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ধর্ষককে এবং কিশোরীর বাবাকে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায়।
এদিকে উদ্ধারের পর কিশোরীকে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগে আনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে ওসিসিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ওই কিশোরী জানান, সংসারে দারিদ্র্যের কারণে তার মা বিদেশে কাজের খোঁজে গেছেন। গত ১১ জানুয়ারি পুণরায় ধর্ষণের শিকার হলে মেয়েটি এক প্রতিবেশীকে জানায়। তিনিই পরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করা হয়েছে।