Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ভিডিওকারীসহ ৩১ ইরানি গ্রেফতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী ২০২০, ১১:৩৮ AM
আপডেট: ১৫ জানুয়ারী ২০২০, ১১:৩৮ AM

bdmorning Image Preview


তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্তত ৩১ ইরানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটির ভিডিও পোস্টদাতাও রয়েছেন।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দেশটির বিচার বিভাগের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’ জানায়, যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংসের ঘটনায় সম্প্রতি বিশেষ আদালত গঠনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। মূলত তার এই ঘোষণার পরপরই গ্রেফতার খবরটি এলো।

এ সম্পর্কে দেশটির বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেইন ইসমাইলি বলেছেন, বিমান ধ্বংস নিয়ে বড় আকারের তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কারও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।

সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান। 

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে হামলাটি চালানো হয়। অপর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।

অবশেষে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে সেই হামলা চালায় তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, এবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। সে দিনই তেহরানে ইউক্রেনের 'বোয়িং-৭৩৭' বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা ১৭৬ জনের প্রত্যেকেই মারা যান।

ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।

Bootstrap Image Preview