মার্কিন সামরিক বাহিনী অবস্থান করছে এমন ইরাকি সেনা ঘাঁটিতে ফের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ঠিক কী পরিমাণে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো তা জানা যায়নি।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম 'আল-জাজিরা' জানায়, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে রাজধানী বাগদাদের তাজি সেনা ক্যাম্পে হামলাটি চালানো হয়। যদিও ভয়াবহ এই রকেট হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ বা কোনো সংগঠন স্বীকার করেনি।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক আর্মি ক্যাপ্টেন তুর্কি বার্তা সংস্থা 'আনাদোলু এজেন্সিকে' জানান, বাগদাদ থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরবর্তী ঐ ঘাঁটিতে বহু সংখ্যক মার্কিন ও বিদেশি সেনার অবস্থান ছিল। অন্তত দুইটি কাত্যুশা ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ঘাঁটিটিতে আঘাত হানা হয়।
গত রবিবার (১২ জানুয়ারি) আল-বালাদ ঘাঁটিতে ৮টি কাত্যুশা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। ভয়াবহ সেই হামলায় বেশ কয়েকজন ইরাকি সেনা হতাহত হন।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।
সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান। অবশেষে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোর রাতে ইরাকের দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান।
এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।